#Kolkata
Currently, @Mastodon only offers DeepL and LibreTranslate for translations, and unfortunately, neither of them supports the Bangla language.
Bangla, also known as Bengali, is the seventh most spoken language in the world. It's spoken not only by Bangladeshis but by a broader Bengali-speaking community.
LibreTranslate relies on Argos Translate as its backend for translations. You can help add support for Bangla by voting for it in the discussion at https://github.com/argosopentech/argos-translate/discussions/91#discussioncomment-7077530.
Your support would be greatly appreciated by the Bangladeshi and Bengali-speaking fediverse community, making Mastodon more inclusive and diverse.
Thank you for being here ❤
#bangla #বাংলাদেশ #বাংলা #কলকাতা #bengali #bangladesh #kolkata #india #asia #pakistan #language #fediverse #mastodon #foss #libretranslate #argos #ai #ml
বাংলাদেশী মুদ্রা(১৯৭৪ - ২০১২)। এখানে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী আমলের পয়সা গুলো দেওয়া হয় নাই। কারন আমরা ওদের ঘৃণা করি।
#মুদ্রা #Currency #OldCurrency #BangladeshiCurrency
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

Qoto.org থেকে buddyverse.xyz এ মুভ করা হলো। কারন buddyverse.xyz আমাদের বাঙালী @mitexleo ভাইয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। সর্বপরি আমরা বাংলাকে ভালবাসি।
সবাইকে buddyverse.xyz এ যুক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ 🙏 করছি।
সব বাঙালী একটি ইন্সট্যান্সে থাকতে পারলে বাংলায় প্রান খুলে কথপোকথন করা যাবে। আর যতো বেশি বাংলায় টুট করবো ফেডিভার্সে বাংলা শব্দের পরিমান বাড়তে থাকবে। সেই সাথে আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক তৈরী হবে। আর এই উদ্দেশ্যে ২০১৯ সাল থেকে এই বাংলাদেশ নামে মাস্টাডন একাউন্ট তৈরী করা হয়েছিল। টুট করার আগে অবশ্যই #বাংলা হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করবেন। ধন্যবাদ।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
অনেকদিন ধরে বাঙালীদের চালু করা মাস্টডন ইন্সট্যান্স খুজিতেছিলাম। অবশেষে বাংলাদেশী @mitexleo ভাই https://buddyverse.xyz/ ইন্সট্যান্স টি চালু করেছে। সবাইকে জয়েন করার জন্য অনুরোধ করছি। তবে @mitexleo ভাইকে অনুরোধ করবো ডোমেইন নেম টা বাংলা সম্পর্কিত হলে খুবই ভাল হয়।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
#ইরান, উত্তর কোরিয়া বহাল তবিয়তে ঠিকে আছে।
বাংলাদেশের ২৫% রপ্তানী যায় #আমেরিকা এবং ইউরোপে।
বাংলাদেশ টিকে আছে নর্থ-আমেরিকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের রেমিত্যান্স এ। গত দুই মাসে প্রবাসীরা রেমিত্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দেবার কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন-এ ঠেকেছে।
#ইমরান খান ক্ষমতা নেবার সময় পাকিস্তানের রিজার্ভ সম্ভবতঃ ১৩ বিলিয়ন ছিল।
ইরান বিগত ৪০ বছরে তার রপ্তানীকে বড় রকমের ডাইভার্সিফাই করেছে, টেকনলজিতে সাবলম্বী হয়েছে, এবং বিশাল স্মাগলিং নেটোয়ার্ক তৈরি করেছে।
উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা ক্ষুদ্র; বিগত ৫০-৬০ বছর তারা ওপেন ইনফরমেশন তারা পায়না, এবং ওদের ওখানে কোন ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া নেই। ফলে উত্তর করিয়ার বাইরে কী হচ্ছে তারা কিছুই জানে না।
আমেরিকার বন্ধু জেলেনেস্কির হাল দেখুন কি হইছে।
জেলেনেস্কটিকে বসিয়েছে CIA এবং MI6; নির্বাচনের আগে ওকে দিয়ে একটি টেলিভিশন ড্রামা তৈরি করানো হয়, যেখানে তাকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এর ভুমিকায় অভিনয় করানো হয়। পরে তাঁকে ইলেকশনে দাঁড় করানো হয়।
বাংলাদেশের সাথে ইউক্রেনের পার্থক্য হচ্ছে —
ইউক্রেনের যুদ্ধ আমেরিকার অস্ত্র বিক্রির একটি ব্যাবসা ক্ষেত্র।
রাশিয়ার অর্থনীতি এবং সামরিক ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য আমেরিকার একটি প্রোজেক্ট।
আমেরিকার জেনারেল মিলি বলেছেন যে আমেরিকান সৈন্যদের কোন রকমের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আমেরিকার প্রতিরক্ষা ব্যায়-এর মাত্র ৫% খরচ করে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে — এর চেয়ে বড় লাভ আর কী হতে পারে?
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল কেন?
আমার ব্যাক্তিগত গবেষণায় যা বলে তা হচ্ছে —
১৯৬০-এর দশক থেকেই শেখ #মুজিব এবং তার চ্যালারা #সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিল। আর, যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছে ভারত।
ছয় #দফা থেকে শুরু করে ১৯৭১ পরবর্তী মুজিবের সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সোভিয়েতপন্থী চিন্তাধারার ব্যাপক ছাপ পাওয়া যায়।
যেমনঃ
কম্যুনিস্ট স্টাইলে — দেশের নাম "পিপলস রিপাবলিক" রাখা
কম্যুনিস্ট স্টাইলে — এক পার্টির শাসন কায়েম করা
কম্যুনিস্ট স্টাইলে — দেশের প্রায় সকল কল-কারখানা এবং ব্যাংককে জাতীয়করণ করা
নারোদনে ওপলচিনিয়ে (Narodnoe Opolcheniye) স্টাইলে — জাতীয় রক্ষী বাহিনী নামক মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি
সুপ্রীম সোভিয়েত (Supreme Soviet) স্টাইলে — সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা বাতিল করে উপদেষ্টার মর্যাদা দেয়া
#শেখ জামালকে #মিলিটারী ট্রেনিং এর জন্য কম্যুনিস্ট দেশ যুগোস্লাভিয়ায় পাঠানো
… ইত্যাদি।
আমার ধারণা, এই সবের মাধ্যমে মুজিব হয় ধীরে ধীরে কম্যুনিস্ট শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, অথবা, #সাদ্দাম হোসেনের বাথ পার্টির মতো এক পার্টির শাসন চালু করে আজীবন প্রেসিডেন্ট হতে চাচ্ছিলেন।
১৯৭৫ সালের মার্চের ১৫-১৮ তারিখে তার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ সফর করার কথা ছিল। সম্ভবতঃ, এ সময় তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে ছিলেন।
যদি তাই হয় তাহলে মুজিবকে হত্যা করার ব্যাপারে CIA (Central Intelligence Agency, USA)-এর সরাসরি হাত ছিল। আর এই কাজ করার জন্য তারা ভাড়া করেছিল খন্দকার মোশতাক সহ কিছু আর্মি অফিসারকে।
---------------------------------------
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ইতিহাস বিশারদ এবং #বুদ্ধিজীবী ডঃ আহমদ শরীফ-এর লেখা আমার এই তত্ত্বকে সমর্থন করে।
ডঃ আহমদ শরীফ, আহমদ শরীফের ডায়েরি: ভাব-বুদ্বুদ, পৃষ্ঠাঃ ১৯৯-২০০)
শেখ #মুজিব বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা এবং জাতির পিতার পরিচিতি নিয়ে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সনে ঢাকায় আসেন ।
শেখ মুজিব কিন্তু তাঁর দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণে ও শাসনে অনুগত রাখতে পারলেন না। তাঁর রক্ষীবাহিনীর, তাঁর অনুচর, সহচর, সহযোগীর লুণ্ঠনে, পীড়ন নির্যাতনে, অত্যাচারে, শাসনে- শোষণে দেশে দেখা দিলো দুর্ভিক্ষ, মরল লক্ষাধিক মানুষ।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সনের আগস্ট মাস অবধি মুজিব শাসন হচ্ছে ত্রাসের হত্যার কাড়ার-মারার, জোর-জুলুমের, স্বৈরাচারের, দুর্ভিক্ষের, পীড়ণের, শোষণের, জবরদখল ও জবরদস্তির হৃৎকাঁপানো বীভৎস রূপের।
সম্ভবত শেখ মনিই ভাবিশত্রু তাজউদ্দীনকে মুজিবের প্রতিদন্ডী বলে মুজিবের কান-মন ভারী করে তাঁকে পদচ্যুত করিয়েছিলো। রাজত্বটাও প্রায় পারিবারিক হয়ে উঠেছিলো- সৈয়দ হোসেন, সারনিয়াবাদ, শেখ মনি, কামাল- জামাল তখন সর্বশক্তির আধার কার্যত
এ সুযোগে উচ্চাশী মুশতাক ও অন্যরা হলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অস্থিরচিত্ত ও অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক নীতি আদর্শেও হলেও অস্থির। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিতে তাঁর মুক্তিযোদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি উচ্চাশী ক্ষুদ্র দল তাঁকে সপরিবার পরিজনে হত্যা করলো।
মুজিবকে যারা হত্যা করলো, তারা গোড়ায় সবাই মুজিবের অনুগতই ছিল।
শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন কিন্তু হত্যা-লুণ্ঠনের বিভীষিকা মুজিবকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিলো। মার্কিন #যুক্তরাষ্ট্র তার #আন্তর্জাতিক
রাজনীতির স্বার্থে সে সুযোগে তাকে #হত্যা করায় সপরিবার।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা


শুধু একবার সময়টা ভাবুন। ঈশ্বরচন্দ্রের বয়স যখন ১১ তখন ডিরোজিও মারা গেলেন, বয়স যখন ১৩ #রামমোহন রায় মারা গেলেন। এরপর নিজের জীবনকালে সমসাময়িক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, #মধুসুদন কে পেয়েছেন, বয়সে খানিক ছোট #রামকৃষ্ণ আর #বঙ্কিম কে পেয়েছেন। সারাটা জীবন ধরে #লালন কে পেয়েছেন। পুত্রসম #বিবেকানন্দ, #রবীন্দ্রনাথ, #জগদীশ বসুকে পেয়েছেন। সারা বাংলাদেশ তখন কিরকম দ্যুতিময় বুঝতেই পারছেন। গায়ে কাঁটা দেয়।
গোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে লোকটা #বিধবা বিবাহ চালু করার জন্য লড়ে যাচ্ছে। রাধাকান্ত দেবরা প্রকাশ্যে আর বঙ্কিমচন্দ্রের মত লোকেরা আড়ালে আবডালে থেকে বিরোধিতা করছেন। এমনকি বড়লাট ডালহৌসিও হাত তুলে দিয়ে বলছেন “ইয়ে, মানে প্রস্তাবটা ভালো, কিন্তু শাস্ত্রে যদি কোন উল্লেখ না থাকে তবে সবাইকে চটিয়ে কি ভাবে সম্ভব ?” ভাবা যায়? কিন্তু ঈশ্বরও ছাড়বার বান্দা নন। তন্ন তন্ন করে বেদ, পুরান, সংহিতা খোঁজা শুরু হল। একেই হয়ত বলে কনভিকশন। খুঁজে পেলেন পরাশর সংহিতার একটি #শ্লোক-
“নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ
পচস্বাপতসু নারীনাং পতিরন্যে বিধয়তে”
যার বাংলা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায় “ যদি স্বামী মারা যান, সন্ন্যাস নেন, নিখোঁজ হন, সন্তান গ্রহনে অক্ষম হন, অত্যাচারী হন তবে স্ত্রী আবার বিবাহ করতে পারে”। পাশ হল বিধবা বিবাহ আইন।
বিদ্যাসাগরের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিবেকানন্দ বলছেন “সমগ্র উত্তর ভারতে আমার বয়সী এমন কোন মানুষ নেই যার ওপর ওনার প্রভাব পড়ে নি”।
মধুসুদন বলছেন “ তার মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের প্রজ্ঞা, পাশ্চাত্যের উদ্যম আর বাঙ্গালী মায়ের হৃদয় ছিল”।
রামকৃষ্ণ তার সাথে প্রথম আলাপেই অকপট বলে ফেলেন “এতদিন খাল, বিল, নদী দেখেছি। আজ সাগর দেখছি”।
আর রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ উক্তি “ বাঙ্গালী গড়তে গড়তে বিধাতা যে কি করে একটা ঈশ্বরচন্দ্র বানিয়ে ফেললেন সেটা অতীব আশ্চর্যের”।
কি? গায়ে কাঁটা দিচ্ছে? যদি দেয়, জানবেন আপনি দলবাজিতে নেই, বিদ্যাসাগরে আছেন!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

যেদিন প্রথম #বিজলী বাতি জ্বললো ঢাকা শহরে
অবশেষে বহুপ্রতীক্ষিত সেই ৭ই ডিসেম্বর এল। সাজসাজ সাড়া পড়ে গেল সারা শহরে। বিকাল ৫টা বাজতে না বাজতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল আহসানমঞ্জিলের আশপাশের এলাকা। নবাব আহসানউল্লার আমন্ত্রণে গণ্যমান্য অতিথিরাও এসে গেলেন আহসানমঞ্জিলে। ঐতিহাসিক এই ঘটনা উদ্বোধনের জন্য বাংলার ছোট লাট স্যার জন উডবার্নকে আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়াতে তার পক্ষ থেকে কলকাতা থেকে সি. ডাব্লিউ বোল্টন এসে পৌঁছালেন। ঢাকায় জ্বলে উঠল #বিদ্যুৎ #বাতি! বিজলী বাতি আবিষ্কারের তিন বছর পর ১৮৮২ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এডিসন সাহেব সুইচ টিপে নিউ ইয়র্ক শহরের পার্ল স্ট্রিটে ৫৯ জন গ্রাহকের বাসায় বিজলী বাতি জ্বেলে দিলেন। এর উনিশ বছরের মাথায় ১৯০১ সালের ৭ই ডিসেম্বর বিজলী বাতির আলোয় ঝলমল করে উঠল আমাদের #ঢাকা শহর। অবশ্য গোটা শহরকে তখন এর আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে যেটুকু হয়েছিল, তাতেই ঢাকাবাসীর আনন্দের সীমা ছিল না। কারণ বিজলী বাতির কথা তারা শুনেছে মাত্র। সেই বাতির আলো পাওয়া তখনো তাদের জন্য ছিল অকল্পনীয়।এর আগে ঢাকার রাস্তায় জ্বলত কেরোসিনের বাতি, তাও সব রাস্তায় নয়। ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী হিসাবে ঘোষণা উদযাপনের জন্য ১৮৭৭ সালে ঢাকা শহরে বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নানা উৎসব আয়োজনের অংশ হিসাবে ওয়াইজঘাটে অবস্থিত তত্কালীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল অফিস থেকে চকবাজার পর্যন্ত রাস্তা আলোকিত করতে একশ’টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর এক বছর পর কমিটির সদস্যদের চাঁদায় (চাঁদার মোট পরিমাণ সাড়ে ছয় হাজার টাকা) এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছিল এবং এগুলোতে লাগানো হয়েছিল ৬০টি কেরোসিনের বাতি। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা মিউনিসিপ্যালিটির লোক লম্বা লম্বা মই নিয়ে এসে জ্বেলে দিত এসব কেরোসিনের বাতি। বিদ্যুতের #লোডশেডিং বলে কোন শব্দের সঙ্গে পরিচিত ছিল না ঢাকাবাসী। তবে একটু জোর হাওয়া দিলে বা ঝড়-বৃষ্টি হলেই এসব বাতি নিভে গিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে তলিয়ে যেত ঢাকার সব রাস্তা-ঘাট।
১৮৮৬ সালে শোনা গেল, ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গনিকে স্যার উপাধি দেবে #ব্রিটিশ সরকার। একথা শুনে নবাব খাজা আহসানউল্লাহ যারপরনাই খুশি হলেন। তিনি বললেন, "সদাশয় সরকার বাহাদুর যদি সত্যিই আমার পিতাকে এই ‘ইজ্জত’ প্রদান করে তবে কথা দিচ্ছি, ঢাকাবাসীদের আমি খুশি করে দেব।" সেই বছরই খাজা আবদুল গনিকে ব্রিটিশ সরকার ‘নাইট কমান্ডার অব স্টার অব ইন্ডিয়া’ উপাধি প্রদান করে। ভারতের বড় লাট লর্ড ডাফরিন ১৮৮৮ সালে ঢাকা পরিদর্শনে এসে নবাব আহসানউল্লাহর এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেরোসিনের সড়ক-বাতির পরিবর্তে গ্যাসের সড়ক-বাতি লাগানো কর্মসূচির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৮৯১ সালে নবাবের পক্ষ থেকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের বাতি লাগানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে নবাবের সেই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন হয়নি। ১৮৯৭ সালে সে আমলে নগরীতে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা পত্রিকা ‘ঢাকা প্রকাশে’ লেখা হয়, "আজ হইতে বারো বত্সর পূর্বে নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ঢাকা শহরের সড়কে কেরোসিনের বাতির পরিবর্তে গ্যাসের বাতি লাগাইবার প্রতিশ্রুতি প্রদান করিয়াছিলেন। মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের ওপর তিনি আস্থা রাখিতে না পারায় সম্ভবত তাহার সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় নাই। তবে এইবার নবাব সাহেবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নবাব খাজা ইউসুফ জান মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আশা করিতেছি, তাহার সেই অবিশ্বাস দূরীভূত হইবে এবং নবাব সাহেবের সেই প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটিবে।"
রাস্তা #আলোকিত করার যে প্রতিশ্রুতি নবাব আহসানউল্লাহ ঢাকাবাসীকে দিয়েছিলেন, তা তিনি কখনো ভোলেননি। তাই ঢাকার রাস্তায় বিজলী #বাতি জ্বালবার জন্য ১৯০১ সালেই তিনি ঢাকা ইলেকট্রিক লাইট ফান্ড গঠন করে তাতে সাড়ে চার লক্ষ টাকা প্রদান করেন। সেই বছরই ৫ই জুলাই ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির তত্ত্বাবধানে ‘দ্য ঢাকা ইলেকট্রিক লাইট ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পত্রিকায় প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা শহরের রহমতগঞ্জ সড়ক, চকবাজার সার্কুলার রোড, মোগলটুলি রোড, নালগোলা রোড, বাবুবাজার রোড, কমিটিগঞ্জ রোড, আরমেনিয়া স্ট্রিট, ইসলামপুর রোড, আহসানমঞ্জিল রোড, পাটুয়াটুলি রোড, বাংলাবাজার রোড, ডাল বাজার রোড. ফরাশগঞ্জ, লোহারপুল রোড, দিগবাজার রোড. ভিক্টোরিয়া পার্ক, লক্ষ্মীবাজার রোড, সদরঘাট রোড. শাঁখারিবাজার রোড. জনসন রোড. নবাবপুর রোড. রেলওয়ে স্টাফকোয়ার্টার রোড. জামদানি নগর রোড ও রাজার দেউড়ি লেনে বিদ্যুত্ বাতি লাগানো হবে। ৭ ডিসেম্বর, ১৯০১। আহসানমঞ্জিল চত্বরে বানানো বিশাল মঞ্চের সবার মাঝখানে বসলেন স্যার বোল্টন, তার ডানদিকে বসলেন নবাব আহসানউল্লাহ, বামদিকে মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনারবৃন্দ। বোল্টন সাহেব ঢাকার রাস্তায় বিদ্যুত্ বাতির ব্যবস্থা করার জন্য নবাব আহসানউল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, "আজ থেকে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিরও দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। ঢাকার সরু সরু রাস্তাঘাট, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সঙ্গে এই বিদ্যুত্ বাতি বড়ই বেমানান। আমরা আশা করি, মিউনিসিপ্যালিটি এ বিষয়টির দিকে নজর দেবে।" এর পরই তিনি সুইচ টিপে বিজলী বাতি জ্বেলে দিলেন। প্রথম বিজলী বাতি জ্বলল ঢাকা শহরে। বহু নগরবাসী পরম বিস্ময়ে দেখল, বিনা তেলে, বিনা গ্যাসে জ্বলছে বাতি—আরো উজ্জ্বল, আরো স্থির।
প্রাপ্তি স্বীকার: ,Bengali Umbrella.
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

সাল্লু দরবেশ নিজেই কিন্তু #ভিসা #নিষেধাজ্ঞা খেয়েছে!
হাসিনা যে সম্প্রতি আমেরিকায় জাতিসংঘে ঘুরে আসলো, হাসিনার সাথে কি ওকে দেখেছেন?
ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা #ঋণ নিয়ে লন্ডনে পাচার করেছে।
ওর টাকা কিন্তু "জয় বাংলা" হয়ে গেছে!
এদিকে মিডিয়াতে গলাবাজি করে বেড়াচ্ছে!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শেখ #মুজিবুর রহমানের ভূমিকা কী ছিল?
শূন্য!
৭ই মার্চ স্বাধীনতার #ঘোষণা না দেবার কারণে #ছাত্রলীগ এবং জাসদ ওনার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলে উনি প্রাণভয়ে ধানমন্ডির বাড়িতে নিজেই #গৃহবন্দী হয়ে থাকেন এবং #পাকিস্তান আর্মিকে বলেন যে ওনাকে যেন প্রটেকশন দেয়া হয়। ফলে #শেখ #হাসিনা সহ ওনার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাকিস্তান আর্মির হাতে চলে যায়।
২৫শে মার্চ রাতে #পিলখানা, রাজার বাগ #পুলিশ লাইন্স, এবং ঢাকা #বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলযোগ শুরু হলে ওনাকে পশ্চিম পাকিস্তানে চালান দেয়া হয়। যুদ্ধের পুরো সময় উনি পাকিস্তানে কাটান এবং এই সময়ে ওনার পরিবারের নিরাপত্তা এবং ভরণপোষণের সকল #খরচ দেয় পাকিস্তান আর্মি।
রেফারেন্সঃ
Major General (Retd.) Khadim Hussain Raja; A Stranger in My Own Country : East Pakistan, 1969-1971 ॥ [Oxford University Press (Karachi)- 2012 । p. ]
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

তিনি দেখতে ক্ষুদ্র আকৃতির ছিলেন কিন্তু সমুদ্রের মতো বিশাল #জ্ঞানী ছিলেন আমাদের ড. #মুহম্মদ #শহীদুল্লাহ।
খুব বেশি না মাত্র ২৪টি #ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। এর মধ্যে ১৮টি ভাষার ওপর তার উল্লেখযোগ্য #পাণ্ডিত্য ছিল।
উল্লেখযোগ্য ভাষাসমূহ হলো-
১। বাংলা
২। #উর্দু
৩। #ফারসি
৪। #আরবি
৫। ইংরেজি
৬। অসমিয়া
৭। ওড়িয়া
৮। মৈথিলী
৯। #হিন্দি
১০। পাঞ্জাবি
১১। গুজরাটি
১২। মারাঠি
১৩। কাশ্মীরি
১৪। #নেপালি
১৫। সিংহলি
১৬। তিব্বতি
১৭। #সংস্কৃত
১৮। পালি।
তাঁর নামেই #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে #সাইন্স ফ্যাকাল্টির একটি #হল আছে ❝ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল❞।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা


কবিতা প্রতি পঞ্চাশ টাকা
রুদ্রের মতো একজন প্রথম সারির #কবি, একজন জনপ্রিয় কবিও, শুধুমাত্র #কবিতা লিখে জীবনযাপন করতে পারেনি এই বাংলাদেশে। প্রতিটা কবিতা বাবদ পঞ্চাশ টাকা পেতো রুদ্র। একবার সে জেদ করে কবিতার দাম বাড়াতে চেয়েছিল। দেড়শো #টাকা না দিলে কবিতা দেবে না কোন পত্রিকায়।
রুদ্রের এই মেজাজ দেখেই তাকে বয়কট করার বাতাস উঠেছিল। প্রত্যক্ষ বয়কট। দেড়শো টাকার কবিকে বাদ দিলেও তো এই দেশে শত শত কবি ও কবিতা পাওয়া যাবে। তাই রুদ্রের লেখা না ছাপিয়ে, রুদ্রকে উপেক্ষা করে অন্যান্য অনেক গৌণ্ কবিদের লেখাও ছাপতে থাকে পত্রিকাগুলো।
#পঞ্চাশ টাকার কবিতা। সিনেমার #চিত্রনাট্য ও #গান লিখে টাকা একটু বেশি পাওয়া যায় বলে সেই পথেও রুদ্র খুব দৌঁড়ঝাপ করছিল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও খুব বেশি কাছাকাছি যেতে পারেনি।
"ভালো আছি ভালো থেকো-" গানটাও বিখ্যাত হয়েছে রুদ্রের মৃত্যুর পর। শেষ কথা, কোমরে #গামছা কিংবা ঘর্মাক্ত জামা রুদ্রও বেঁধেছিল, আমাদেরও বাঁধতে হয় মাঝেমধ্যে। #রুদ্র বেঁচে গেছে, আমরা বাঁচার চেষ্টায় আছি। এই চেষ্টায় #আগুন আছে।
ছবি- রুদ্র মুহম্মদ #শহিদুল্লাহ, ১৯৮৬ সাল, মিঠেখালি, মোংলা
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

দিলকুশা
#নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র ভগ্নিপতি নবাব আজিম মিয়া মতিঝিলের সাধারন #বীমা ভবনের স্থানে একটি মনোহারী কুঠি নির্মাণ করেন। নবাব সাহেব এই কুঠির নাম দিয়েছিলেন #দিলকুশা। কুঠিবাড়ির ভেতরে ছিল সুদৃশ্য পুকুর। সেই পুকুরে দর্শনার্থীদের জন্য ছিল কুমির। প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিলকুশা ভবন দর্শনে আসত পর্যটকরা। সাতচল্লিশের দেশভাগের সময় সর্বপ্রথম অবহেলার #স্বীকার হয় ঢাকার অন্যতম সেরা এই #ভবন। দিলকুশা ভবন ধ্বংস করে দিয়ে পুকুর ভরাট করে ফেলা হয়। কুঠিবাড়ির একটি প্রাচীন মসজিদ আর নবাব পরিবারের কয়েকটি কবর ছাড়া আজ আর কোথাও দিলকুশার চিহ্নমাত্র নেই। শুধু বাণিজ্যিক এলাকার তকমা নিয়ে সুউচ্চ দালানের চাপায় পড়ে আছে #ঐতিহাসিক দিলকুশা ভবন!
দিলখুশা আনন্দ ভবন, ১৮৮০
আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব #ঢাকা গ্রন্থের ১৩ তম সংষ্করণ থেকে এই ছবিটি নেয়া হয়েছে। ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা


ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পালঘর #রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) এক #কনস্টেবল তিন জন #মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবককে #গুলি করে #হত্যা করেছে।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি #ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় #হত্যাকারী #চেতন #সিং মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, “যদি ভারতে থাকতে হয়, যদি ভোট দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি ও যোগিকে দিতে হবে।”
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

একটা সময় ছিল যখন #শুক্রবার দুপুরের পর #BTV তে #কোরআন পাঠ, #গীতা পাঠ, #ত্রিপিটক পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিতো। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো।
অতঃপর হাসিমুখে উপস্থিত হতেন সুন্দরি উপস্থাপিকা।
আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পূর্নদৈঘ্য বাংলা #ছায়াছবি দেখার জন্য, আমাদের আজকের ছায়াছবি......... শ্রেষ্টাংশে.......!
বুক ধকধক করতো, উত্তেজনায় প্রায়ই ছবির নাম ভালোভাবে শুনতে পেতাম না!
শুক্রবার আসলেই সে কী ব্যস্ততা। চারপাশের সবাই ৩.০০ টার আগে কাজ শেষ করতেন। কারণ ৩.০০ টায় ছবি। আর ৮:৩০ বেজে উঠার আগেই পুরো গ্রামের সবার খাওয়া শেষ।
উত্তেজনা, ভয় আর আনন্দের মিশ্রণে #আলিফ #লায়লার অপেক্ষা। #বিজ্ঞাপন হচ্ছে তো হচ্ছে, আলিফ লায়লা শুরু হবার খবর নাই। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে প্রায় ক্লান্ত হওয়ার পর শোনা যেতো সেই প্রিয় #মিউজিক আলিফ লায়লা.....................। শুরু হতে হতেই আবার বিজ্ঞাপন। just কাহিনীতে মনযোগ দিতে দিতেই আগামী পর্বে দেখবেন এত অল্প সময়। তবু আনন্দের শেষ নেই!
এখনও সব আছে কিন্তু আর বুকে কাঁপন তুলে না। সেই #উপস্থাপিকা ও আছেন, হয়তো আজ তার #লিপিস্টিক আরো কড়া হয়েছে। তিনি এখনও আমন্ত্রণ জানান, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ কাউকে মনযোগী করে না। #ছবি দেখার জন্য এখন কেউ শুক্রবারের #অপেক্ষা করে না। এখনকার পিচ্চিরা হয়তো আলিফ লায়লার নামও জানেনা। একসাথে ৩০/৪০ জন মিলে #টিভি দেখার কল্পনা ও করা যায় না।
শুক্রবার আসে, চলে যায়, সপ্তাহ ঘুরে আবার শুক্রবার আসে, কিন্তু #শৈশব আমার হারিয়ে গেছে সব বদলে গেছে!
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে বাংলাদেশের জনগণের কী কী লাভ হবে?
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছিলেন, "সোনা মিয়ারে বানাইসে লাল মিয়া আর লাল মিয়ারে বানাইসে সোনা মিয়া। মিয়া কিন্তু ঠিকই আছে। সোনাডা খালি লাল হইয়া গেছে।"
#আওয়ামী লীগের জায়গায় #বিএনপি আসলে আয়নাঘর ঠিকই থাকবে কিন্তু এক বন্দির জায়গায় অন্য বন্দি আসবে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
#ফার্মগেট, ঢাকা | ১৯৯২
ফটোগ্রাফার: মাহমুদ রহমান
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা এ কে ফজলুল হককে শের-ই-বাংলা বলা হত কেন?
কলকাতার বাবুরা বলেছেন, "ঢাকায় #বিশ্ববিদ্যালয় করার কোন দরকার নেই। #ফার্মগেট আছে, #ধানমণ্ডি আছে পাশে একটা #কৃষি #কলেজ করে দাও। "
এই ধরনের কায়েমী স্বার্থবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে #ব্রিটিশ লর্ডের কাছে গিয়ে #শেরে #বাংলা #ফজলুল #হক বোঝালেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় #প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এবার ব্রিটিশরা কিছুটা নমনীয় হল --- কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল একটু দেরীতে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলার #শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক ।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে #মুসলিম #লীগ এর #সভাপতি নির্বাচিত হন । পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় #কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক হন । তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একই সময়ে মুসলিম লীগ এর #প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস এর জেনারেল #সেক্রেটারি ছিলেন । ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ।
১৯৩৭ এর নির্বাচনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে জিতলে তিনি #জমিদারি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন।
তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদাররা একত্র হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। লাভ হয়নি --- #কৃষকরা তাদের নেতাকে ভোট দিয়েছেন।
মুসলিম লীগ এর লাহোর অধিবেশনে #মোহাম্মদ #আলী #জিন্নাহ বক্তব্য দিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটা গুঞ্জন শুরু হলো, দেখা গেল জিন্নাহর বক্তব্যের দিকে কারও মনযোগ নাই । জিন্নাহ ভাবলেন, ঘটনা কী ? এবার দেখলেন, এক কোণার দরজা দিয়ে ফজলুল হক সভামঞ্চে প্রবেশ করছেন, সবার আকর্ষণ এখন তার দিকে । জিন্নাহ তখন বললেন --- When the tiger arrives, the lamb must give away. এই সম্মেলনেই তিনি উত্থাপন করেছিলেন ঐতিহাসিক #লাহোর #প্রস্তাব ।
১৯৪০ সালের ২২-২৪ শে মার্চ লাহোরের ইকবাল পার্কে মুসলিম লীগের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে #বাংলার #বাঘ আবুল কাশেম ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবতায় #হিন্দু #মুসলিম একসাথে বসবাস অসম্ভব। সমাধান হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্বাধীন মুসলিম #রাষ্ট্র এবং পূর্বাঞ্চলে বাংলা ও আসাম নিয়ে আরেকটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
পাঞ্জাবের মওলানা জাফর আলী খান, সীমান্ত প্রদেশের সর্দার আওরঙ্গজেব, সিন্ধের স্যার আব্দুল্লাহ হারুন, বেলুচিস্তানের কাজী ঈসা ফজলুল হকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। কনফারেন্সে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।
লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে #হিন্দুপ্রধান প্রদেশগুলোতে মুসলিম #নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে ফজলুল হক খুবই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে একবার বলেন, ‘ আমি আগে মুসলিম, পরে বাঙালী (muslim first, bengali afterwards)’। বক্তৃতার এক পর্যায়ে এসে বলেন, ‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে যদি আর কোনো মুসলিম নির্যাতিত হয় তাহলে আমি বাংলার হিন্দুদের উপর তার #প্রতিশোধ নেব।’
যে ফজলুল হক তিন বছর আগে সোহরাওয়ার্দী, নাজিমউদ্দিনকে রেখে শ্যামাপ্রসাদের সাথে কোয়ালিশন #সরকার গঠন করেছেন সেই ফজলুল হকের মুখে এমন বক্তব্য তখনকার ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃাষ্ট করেছিল।
বর্তমানে যে #পাকিস্তান রাষ্ট্র তার ভিত্তি হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। তাই ২৩ শে মার্চ কে পাকিস্তানে #প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চালাকির আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি টাইপ করার সময়ে ভুল করে muslim majority states লেখা হয়েছে; আসলে হবে state । জিন্নাহর ধারণা ছিল, দেন-দরবার করে দুই পাশে দুইটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই স্টেটস এর জায়গায় স্টেট লিখে একটা মুসলিম মেজরিটি রাষ্ট্র করতে হবে।
জিন্নাহর এই ধূর্ততার কারণে ফজলুল হক তার সাথে পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হননি। তরুণ শেখ মুজিব যখন জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তখন অভিজ্ঞ ফজলুল হক পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। 'তিঁনি অনুমান করতে পেরেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে কী কী দুর্দশা হবে বাংলার মানুষের। তাই তিঁনি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। #অসমাপ্ত #আত্মজীবনী তে #বঙ্গবন্ধু লিখেছেন.......
"বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চাননা এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়েই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন, ”যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।” এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো #পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের #মারপিট করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।"
বঙ্গবন্ধু ' র বাবা বলেছেন , " বাবা তুমি যাই করো শেরে বাংলার বিরুদ্ধে কিছু বলো না। শেরে বাংলা এমনি এমনি শেরে বাংলা হয়নি। "
ফজলুল হক জানতেন মাঝখানে ভারতকে রেখে পশ্চিম আর পূর্বে জোড়া দিয়ে এক পাকিস্তান করলে তা কখনো টিকবে না। ‘ জিন্নাহ আমার লাহোর প্রস্তাবের খৎনা করে ফেলেছে -বলে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকেননি।
১৯৪৬ এ এসে জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দীর দুই বাংলা একত্র করে স্বাধীন যুক্তবাংলার দাবী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাও ভাগ করতে হল।
ফজলুল হক বলেছিলেন, একটি পাকিস্তান কখনও টিকবে না। বাংলা এবং আসামকে নিয়ে পৃথক #স্বাধীন রাষ্ট্র করতে হবে।
১৯৭১ সালে এসে দেখা গেল, ফজলুল হকের আশঙ্কা এবং ভবিষ্যতবাণী সঠিক। ১৯৭১ এর মত এমন কিছু যে ঘটবে শেরে বাংলা ফজলুল হক তা আঁচ করতে পেরেছিলেন ১৯৪০ সালেই। তাই তিনি ১৯৪০ সালেই বাংলা আর আসাম নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম #স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।
১৯৭১ এর #যুদ্ধ হল ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। লাহোর প্রস্তাব ফজলুল হক যেভাবে উত্থাপন করে ছিলেন সেভাবে মানলে একাত্তরে এই দেশে রক্তগঙ্গা বইত না।
পেশাজীবনে 'কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা #আইনজীবী ছিলেন। একদিন তাঁর জুনিয়র হাতে একগাদা #পত্রিকা নিয়ে এসে বললেন, " স্যার , দেখুন , কলকাতার পত্রিকাগুলো পাতার পর পাতা লিখে আপনার দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে --- আপনি কিছু বলছেন না । " তিঁনি বললেন, " ওরা আমার বিরুদ্ধে লিখছে তার মানে হল আমি আসলেই পুর্ব বাংলার #মুসলমান কৃষকদের জন্য কিছু করছি। যেদিন ওরা আমার প্রশংসা করবে সেদিন মনে করবে বাংলার কৃষক বিপদে আছে। "
মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বরিশাল বারের নামকরা উকিল । একবার #ওয়াজেদ আলী র প্রতিপক্ষ মামলার ইস্যু জটিল হওয়ার কারণে কলকাতা থেকে #তরুণ উকিল ফজলুল হককে নিয়ে আসে ওয়াজেদ আলীকে মোকাবেলা করার জন্য । ফজলুল হক ওই সময়ে কেবলমাত্র ফজলুল হক , শেরে বাংলা তখনও হননি । তিনি মামলা লড়তে এসেছেন , কিন্তু বিপক্ষের উকিল কে সেই খবর জানতেন না ।
কোর্টে এসে দেখলেন বিপক্ষে তার #বাবা ওয়াজেদ আলী দাঁড়িয়েছেন । ফজলুল হক স্বাভাবিকভাবে #যুক্তিতর্ক শুরু করলেন ।
এক পর্যায়ে ওয়াজেদ আলী আদালতকে উদ্দেশ করে বললেন , “ ইনি যা বলছেন তা আইনসংগত না । আইনটা হল আসলে এরকম এরকম ....... ইনি নতুন উকিল তো আইন কানুন ভালো বোঝেন না । “
উত্তরে ফজলুল হক বললেন , “ তিনি #পুরাতন #অভিজ্ঞ #উকিল হলে কী হবে ? তিনি হচ্ছেন কৃষকের ছেলে উকিল ( প্রকৃতপক্ষে তার দাদা আকরাম আলী ছিলেন #ফারসি ভাষার পন্ডিত ) , তিনি আইনের কী আর বোঝেন ? আমি হচ্ছি উকিলের ছেলে উকিল , #যুক্তি আমারটাই ঠিক । “
খ্যাতির সাথে ৪০ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন । আইন পাশ করার আগে কলকাতা #বিশ্ববিদ্যালয় থেকে #ফিজিক্স #কেমেস্ট্রি আর ম্যাথমেটিক্সে ট্রিপল অনার্স করেছেন । #মাস্টার্স করেছেন #ম্যাথমেটিক্স এ । ছোটবেলায় একবার পড়ে বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার গল্প রূপকথার মত এদেশের সবার মুখে মুখে ।
বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে একজন এম পি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে লাগলেন । ঐ এম পি শেরে বাংলার বিরুদ্ধে গানও লিখে এনেছেন এবং সংসদের #বাজেট বক্তুতা করতে গিয়ে সেই গানটি হেলেদুলে কর্কশ কণ্ঠে গাইতে শুরু করলেন । এরকম পরিস্থিতিতে যে কারও পক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল ।
শেরে বাংলা ঐ এমপি র বক্তব্যের মধ্যেই বলে উঠলেন -- "Mr Speaker, I can jolly well face the music, but I cannot face a monkey."
এবার ঘটলো মারাত্মক বিপত্তি । তার মত নেতার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য কেউ আশা করেনি । এদিকে , ঐ এম পি স্পিকারের কাছে দাবী জানালেন -- এই মুহূর্তে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই অসংসদীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে । স্পিকার পড়লেন আরেক বিপদে -- তিনি কীভাবে এত বড় একজন নেতাকে এই আদেশ দেবেন।
শেরে বাংলা ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার #বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন --- " Mr. Speaker, I never mentioned any honourable member of this House. But if any honourable member thinks that the cap fits him, I withdraw my remark."
'জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক তাঁর জীবনী লিখতে চান জেনে বলেছিলেন, " রাজ্জাক, সত্যি বলো, তোমার মতলবটা আসলে কী ? " প্রফেসর রাজ্জাক বললেন, " আমার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে ---- আপনি যখন ইংরেজদের সাথে চলেন তখন মনে হয় আপনি জাত ইংরেজ। যখন বরিশালে আসেন মনে হয় আপনি বহুবছর ধরে নিজেই #কৃষিকাজ করেন। আবার যখন কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে ভাই বলে ডাক দেন তখন আপনাকে আসলেই #হিন্দু মনে হয়। আবার যখন ঢাকার নবাব বাড়িতে ঘুড়ি উড়ান তখন মনে হয় আপনিও #নবাব পরিবারের একজন । নিজেকে কেউ আপনার মত এত পাল্টাতে পারে না। আপনি যাই বলেন, সত্য হোক -- মিথ্যা হোক, মানুষ বিনা দ্বিধায় তা #বিশ্বাস করে। "
মহাত্মা গান্ধী র নাতি রাজমোহন গান্ধী তার বইতে লিখেছেন -- তিন নেতার মাজারে তিনজন নেতা শায়িত আছেন যার মধ্যে দুজন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । একজনকে পাকিস্তানের #প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি, অথচ তিনিই ছিলেন সত্যিকারের বাঘ ।
কিন্তু এটা তার জীবনের কোনো অপূর্ণতা নয়, একমাত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া ছাড়া সম্ভাব্য সব ধরনের পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে । তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব বাংলার তৃতীয় মুখ্য মন্ত্রী; পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব - পাকিস্তানের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ।
#সর্বভারতীয় #রাজনীতি ছেড়ে শুধু পূর্ববাংলার রাজনীতি কেন করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেছিলেন -- এরোপ্লেন এ উঠলে নিচের জিনিস ছোট আর ঝাপসা দেখাতে পারে, তাই আমি মাটিতেই থাকছি । রাজনীতির এরাপ্লেন এ না চড়লেও সৌদি বাদশাহ সউদ ফজলুল হকের সাথে একটা মিটিং করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠিয়েছিলেন ফজলুল হককে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।
অসীম সাহসী এই মানুষটি আমাদেরকে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালী জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই । তিনি বলেছেন, যে জাতি তার বাচ্চাদের #বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে ?
#আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন ফজলুল হকের #শিক্ষক। আবুল মনসুর আহমদের সাথে আলাপচারিতায় ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মন্তব্য :
"ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত #খাঁটি #বাঙ্গালী।সেই সঙ্গে ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি #মুসলমান। খাঁটি বাঙ্গালীত্বের সাথে খাটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফযলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছিনা, সত্য বলেই বলছি।খাঁটি বাঙ্গালীত্ব ও খাটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙ্গালীর #জাতীয়তা।"
রেফারেন্স: আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।(পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬)
#পহেলা বৈশাখের #সরকারি #ছুটি, বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এই ফজলুল হকের অবদান । কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফজলুল হক মানুষের #ভালোবাসা পেয়েছেন কারণ #কৃষক-- #শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এই উপমহাদেশে মাত্র একজন ব্যক্তি কৃষকদের জন্য রাজনীতি করেছেন । তিঁনি হলেন -- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বললে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে। জিন্নাহ ছাত্রদের সাথে বৈঠকও করেন। কিন্তু ছাত্ররা ছিল নাছোড়বান্দা। জিন্নাহর ধারণা হলো, ফজলুল হক ছাত্রদেরকে উসকানি দিচ্ছেন। ফজলুল হকের বুদ্ধিতে ছাত্ররা উর্দুর বিরোধিতা করছে। জিন্নাহ এবার ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে চাইলেন। কিন্তু ফজলুল হক দেখা করতে রাজি হলেন না। ফজলুল হক জিন্নাহকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করতেন।
জিন্নাহর পীড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন ফজলুল হক। বন্ধ দরজার আড়ালে কথা হয়েছিল দুই মহান নেতার। কিন্তু ইংরেজিতে কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাদের মধ্যে পরবর্তীতে তা লিখেছেন ফজলুল হকের একান্ত সহকারী আজিজুল হক শাহজাহান --
জিন্নাহ : পাকিস্তান তো তুমি কোনোদিন চাওনি। সব সময়ে বিরোধিতা করে এসেছো।
হক : প্রস্তাবটি তো আমিই করেছিলাম। পরে ওটার খতনা করা হয়েছে। আমি এটা চাইনি।
জিন্নাহ: পাকিস্তানের এই অংশ বেঁচে থাক তা তুমি চাও না। তাই ভারতের কংগ্রেসের টাকা এনে ছাত্রদের মাথা খারাপ করে দিয়েছ। তারা আমাকে হেস্তনেস্ত করছে।
হক: আমি এখানে কোনো রাজনীতি করি না। হাইকোর্টে শুধু মামলা নিয়ে চিন্তা করি। #আইন #আদালত নিয়ে থাকি ।
জিন্নাহ : জানো, তুমি কার সাথে কথা বলছো ?
হক: আমি আমার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে কথা বলছি।
জিন্নাহ: নো নো, ইউ আর টকিং উইথ দ্য গভর্নর জেনারেল অব পাকিস্তান ।
হক: একজন কনস্টিটিউশনাল গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা আমি জানি।
জিন্নাহ: জানো, তোমাকে আমি কী করতে পারি ?
হক: (ডান হাতের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে) তুমি আমার এ্যাই করতে পারো। মিস্টার জিন্নাহ, ভুলে যাওয়া উচিত নয় এটা বাংলাদেশ এবং তুমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে কথা বলছ।
(আজিজুল হক শাহজাহানের কলাম,অমরাবতী প্রকাশনী,ঢাকা;পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭)
@bengali_convo
@masindia
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

পুরানো কলকাতার পতিতাপল্লী
বস্তুতঃ সেই যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে যে যুগের মানুষেরা পতিতাদের #ঘৃণা করতেন। এমনকি নারীদের মধ্যে যাঁরা #নাট্যশিল্পী ছিলেন, তাঁদেরও তাঁরা বিরূপ দৃষ্টিতে দেখতেন। #ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, বঙ্গদেশের রঙ্গালয়ের প্রথম অবস্থায় ভদ্রপরিবারের মহিলারা থিয়েটার দেখতে যেতেন না, যেহেতু তাতে বারাঙ্গনারা অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। ‘গিরিশচন্দ্র ঘোষ’ই ভদ্রপরিবারের মহিলাদের মন থেকে সেই সঙ্কোচটা দূর করেছিলেন। তিনি থিয়েটারের দ্বিতলে
‘চিক’-এর আড়ালে মহিলাদের জন্য #স্বতন্ত্র আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের সমাজ ও সমাজপতিদের কাছে পতিতারা ঘৃণিত জীব নয়। বর্তমান সমাজে তাঁরাও মর্যাদাসম্পন্ন এক শ্রেণী। তাঁরাও ‘মায়ের জাত’, তবে ‘পদস্খলিতা’ মাত্র। তাঁরাও তো সমাজের একটা অভাব পূরণ করেন। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারা যাবে যে এক শ্রেণীর নারীরা যদি সেই পথে না যেতেন, তাহলে সমাজে কি বিশৃঙ্খলাই না প্রকাশ পেত, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, যেখানে আজও পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা বেশ কম। এমনকি বর্তমান সময়ের জনগণনার হিসেবেও সারা ভারতে #পুরুষ ও নারীর অনুপাত সমান নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাচীন ভারতে কিন্তু বারাঙ্গনাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখা হত। রাজসভায় ও উৎসব-অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্য মর্যাদামণ্ডিত আসন সংরক্ষণ করা হত।
কলকাতায় পতিতাদের #আগমন ঠিক কবে ঘটেছিল, ঐতিহাসিকদের কাছে সেটা আজও অজানা। তবে এই বিষয়ে সবচেয়ে #প্রাচীন যে নজির পাওয়া যায়, তা হল খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যাহ্নের। সম্ভবতঃ সেই সময় থেকেই কলকাতা শহরে, #পতিতাপল্লী বেশ জাঁকালো ভাবে গড়ে উঠেছিল। কেননা, ১৭৫৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি’র ‘কনসালটেশনস্’ বই থেকে জানা যায় যে, #কোম্পানি - ‘ঈশ্বরী’ ও ‘ভবী’ - নামে দু’জন বারবনিতার মাল নিলামে #বিক্রি করেছিল। তবে ওই তারিখের আগেই যে কলকাতা শহরে #বেশ্যাপল্লী ছিল, সেটা জানা যায়, ‘সিরাজ’ কর্তৃক #কলকাতা আক্রমণের সময় (১৭৫৬) যে সব বিষয় সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল এবং যে সব সম্পত্তির জন্য ‘ #মীরজাফর’ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন, সেগুলোর নামের তালিকা থেকে। ঐতিহাসিকেরা ক্ষতিপূরণের সেই বণ্টন তালিকায় - ‘রতন’, ‘ললিতা’ ও ‘মতিবেওয়া’ নামে ‘গোবিন্দরাম মিত্রের’ আশ্রিতা #তিনজন গণিকার নাম পেয়েছিলেন। ‘জেমস লঙ’ সাহেব লিখে গিয়েছিলেন যে, ১৭৮০ সাল নাগাদ, #ইউরোপীয় জাহাজসমূহের নাবিকেরা, ‘চিৎপুর’ অঞ্চলের বেশ্যাপল্লীতে আনাগোনা করতেন। পরবর্তীকালে ‘চিৎপুর’ ‘গরাণহাটা’র বেশ্যাপল্লীহ ‘ #সোনাগাজী’ (পরে ‘সোনাগাছি’) নামে #প্রসিদ্ধ হয়েছিল। ‘সোনাগাজী’র উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায়, ‘প্যারীচাঁদ মিত্র’ লিখিত ‘আলালের ঘরের দুলাল’ গ্রন্থে। কিন্তু তার অনেক আগের সাহিত্যেও কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘ভবানীচরণ #বন্দ্যোপাধ্যায়’ লিখিত গ্রন্থসমূহে পুরানো কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ‘বেশ্যাপ্রধানা’ ছিলেন - ‘বকনাপিয়ারী’। ‘ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ রচনার অব্যবহিত পরেই ‘কৃষ্ণরাম বসু স্ট্রীটে’ (শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর পেছনে) ‘নবীনচন্দ্র বসু’র বাড়িতে ‘বিদ্যাসুন্দর’ নাটকের অভিনয় হয়েছিল। সেই নাটকে - ‘বিদ্যা’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, ষোড়শবর্ষীয়া ‘রাধামণি’ বা ‘মণি’, ‘রানী’ ও ‘মালিনী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - প্রৌঢ়া ‘জয়দুর্গা’ ও বিদ্যার সহচরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - ‘রাজকুমারী’ বা ‘রাজু’। তাঁদের সকলেকেই ‘বরানগরের পতিতাপল্লী’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। বরানগরের প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের কলকাতায়, এক #অবৈধ বণিক বা ‘ইন্টারলোপার’ এসেছিলেন। তাঁর নাম ছিল - ‘আলেকজাণ্ডার #হ্যামিল্টন’। হ্যামিল্টনের #ভ্রমণ-বৃত্তান্ত থেকে জানতে পারা যায় যে, তাঁর সময়ে, বেশ্যাদের প্রশিক্ষণ দেবার জন্য, বরানগরে একটি বিদ্যায়তন বা ‘সেমিনারি’ ছিল।
তবে কলকাতা শহরের মধ্যে ‘সোনাগাজী’ই ছিল সবচেয়ে #প্রসিদ্ধ বেশ্যাপল্লী। অষ্টাদশ শতাব্দীর কলকাতায়, ‘সোনাগাজী’ বলতে - ‘গরাণহাটা’, ‘দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রীট’, ‘মসজিদ বাড়ি স্ট্রীট’, ‘চিৎপুর রোডের ইমামবকস্ খালাতশ লেন’ ইত্যাদি অঞ্চলকেই বোঝাত। এছাড়া, #বেশ্যাপল্লী ছিল ‘রামবাগানের’ ‘মিনার্ভা থিয়েটারের’ আশেপাশেও। আরও বেশ্যাপল্লী ছিল - ‘শোভাবাজারের রাজবাড়ি’র পিছনে ‘ফুলবাগানে’, ‘শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো’র সামনে ও ‘কালাচাঁদ সান্যাল লেনে’, ‘হরলাল মিত্র স্ট্রীটের’ শেষপ্রান্তে ‘বাগবাজারের খালের মুখে’, ‘উল্টোডাঙ্গা’য়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘হাড়কাটা গলি’তে বা ‘প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীটে’, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দক্ষিণে ‘ছানাপট্টি’র পিছনের সরু গলিটার ভিতরে, ‘শ্যামবাজারের’ ‘কম্-বলিটোলা’য়, ‘গ্রে স্ট্রীট’ প্রভৃতি জায়গায়৷ তবে তৎকালীন কলকাতায় এমন একটি #বেশ্যাপল্লী ছিল, যেখানে ভারতের সব প্রদেশেরই, বিশেষ করে উড়িষ্যার বেশ্যারাই বাস করতেন। সেটা ছিল - ‘ধুকুরিয়া #বাগান’, ‘জানবাজারের’ রানী রাসমণির বাড়ির কাছে ‘রামহরি মিস্ত্রি লেন’ ও ‘উমা দাস লেনে’। এছাড়া তখনকার কলকাতা শহরের আরও নানা জায়গায় বেশ্যারা ছড়িয়ে ছিলেন, যেমন - ‘বালাখানা’, ‘গৌরীবেড়’, ‘জানবাজার’ ইত্যাদি জায়গায়৷ ‘কালীঘাট’ ও ‘চেতলা’ও বেশ্যাদের পীঠস্থান ছিল। কালীঘাটের বেশ্যাদের কথা প্রথম জানতে পারা যায়, জনৈকা #ইংরেজ মহিলা মিসেস ‘এলিজা ফে’-র বিলাতে এক বান্ধবীর কাছে লিখিত পত্র থেকে।
এখানে অবশ্য উল্লেখ্য যে, সেকালের ‘বটতলা’র সাহিত্য সংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল, সোনাগাছির বেশ্যাপল্লীরই আশেপাশে। এখানে আরও বলা দরকার যে, তৎকালীন কলকাতার রঙ্গালয় ও #অভিনয় কলার প্রথম অধ্যায় রচিত হয়েছিল কলকাতা শহরের বারবণিতাদের নিয়ে। বস্তুতঃ সে যুগের নামজাদা অভিনেত্রীদের মধ্যে যাঁরা যশস্বিনী হয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই পতিতাপল্লীর অধিবাসিনী ছিলেন। যথা - ‘ক্ষেত্রমণি’, ‘কাদম্বিনী’, ‘যাদুমণি’, ‘হরিদাসী’, ‘রাজকুমারী’, ‘বিনোদিনী’, ‘নারায়ণী’, ‘তারাসুন্দরী’, ‘আঙুরবালা’, ‘আশ্চর্যময়ী’ প্রমুখ। তাঁদের সকলকেই রূপজীবিকা মহল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তাঁদের অভিনয় দেখে চমকিত হয়েছিলেন ‘রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব’ ও ১৯২২ সালে স্বয়ং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’। এরপরে বঙ্গীয় রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস থেকে সেই সব রূপজীবিরা অন্তর্হিত হয়েছিলেন #বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে, যখন ‘শিশিরকুমার ভাদুড়ি’র সঙ্গে নাটকে #অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন শিক্ষিতা মহিলারা।
বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের গোড়ায় ‘লীগ অফ নেশনস্’-এর একটি সমীক্ষা #দল যখন #পতিতাবৃত্তি সম্বন্ধে সরজমিনে #তদন্ত করবার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন, তখন তাঁরা দেখেছিলেন যে, ‘পার্ক সার্কাস’ অঞ্চলে ‘সোভিয়েতদেশীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়ে খুব জাঁকালো রকমের বেশ্যাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন। তখন ‘অ্যাংলো-#ইণ্ডিয়ান’ বারাঙ্গনারা ‘ফ্রী স্কুল ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন, আর ‘ইউরোপীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন ‘পার্ক ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর দুই মহাপুরুষ - ‘শিবনাথ শাস্ত্রী’ ও ‘ #ঈশ্বরচন্দ্র #বিদ্যাসাগর’- পতিতাদের দুর্দশায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছিলেন। কথিত আছে যে, #বিদ্যাসাগর একদিন শীতের রাত্রে পথের ধারে কনকনে শীতের মধ্যে বারবনিতাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, চাদরের খুঁট থেকে অনেকগুলো #নোট বের করে তাঁদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন - “ #মা লক্ষ্মীরা, তোমরা ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে থেকো না, অসুখ করবে, যাও, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়।”
(তথ্যসূত্র:
১- History of Prostitution in India, S. N. Sinha & Nripendra Kumer Basu.
২- Prostitution In India, Santosh Kumar Mukerji.
৩- ৩০০ বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা, ডঃ অতুল সুর।)
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা


আমি সবসময়ই বলি #আওয়ামী লীগ-#বিএনপি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
এই #জাতি যতদিন না দলকানা হওয়া থেকে বের হতে পারছে ততদিন পর্যন্ত অমানিশার অন্ধকার থেকে বের হওয়ার কোনো আশা নেই।
চিনা ড্রাগনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হংকং, তাইওয়ান সারা বিশ্বের সাথে ব্যবসা করে। চীন কি ওদের মেরে ফেলছে? আমরা কেনো ভারত নির্ভরশীল? এটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা। বিগত কোনো সরকার ভারতের বাইরে বাজার সৃষ্টির চেষ্টা করেনি। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম সহ সকল দেশ থেকে কৃষিপণ্য খুব সহজে আমদানি করা যায়। কিন্তু এই সরকার সব পথ বন্ধ রেখে ভারতের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশী হিন্দু হয়েও, ভারত বিরোধী কেন?
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগের কথাই যদি বলেন তবে দেখবেন শুধু #হিন্দু নয় মুসলমানরাও ভারতের সমর্থক ছিল। #ক্রিকেট খেলার সময় এটা বেশি বোঝা যেত। আমি নিজেও টেনডুলকার, জহির খান ও যুবরাজের ডাইহার্ট ফ্যান ছিলাম।
কিন্তু এখন কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে ন্যুনতম বাংলাদেশী মনে করে সে বাই ডিফল্ট #ভারত #বিরোধী হতে বাধ্য।
একটা একটা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার জন্য একটা কারণ থাকাই যথেষ্ট সেখানে ভারতকে বিরোধিতা করার জন্য অনেক শতাধিক কারণ আছে।
এখানে ভারত বিদ্বেষের জন্য #পিনাকী বা অন্য কাউকে সিঙ্গেল আউট করতে চাই না। ভারতীয়দের কার্যক্রমই বাংলাদেশীদের ভারত বিদ্বেষী হতে বাধ্য করে। আর যাই হোক, কোনো #গণতান্ত্রিক দেশের জনগণ তাদের রাজনীতিতে বিদেশি #হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। ভারত শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপই করেনি বরং একটি পাপেট সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে সহায়তাও করেছে।
বাংলাদেশের #বর্তমান #প্রজন্ম যাদের বয়স মোটামুটি ১৮-২৬ বছর পর্যন্ত তাদের #সিংহভাগ এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেনি। কারণ প্রতিবেশী দেশের প্রত্যক্ষ সংযোগে বাংলাদেশে ঝেঁকে বসা #স্বৈরাচার সকল #গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা




গভীর #দুঃখ নিয়ে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এক #বীর #হিন্দু #মুক্তিযোদ্ধা।
এই তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নাম #জহর #সেন। বাড়ি #সিলেট, ছবির লোকেশন #কুষ্টিয়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রথমে #যুদ্ধ করেন, পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে। এখন তিনি থাকেন ভারতের আসামের করিমগঞ্জে। তিনি একাই ১৭ জন #পাকসেনা ও দুই #আলবদর মেরেছিলেন। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার বোন #ধর্ষিতা হয়েছে, তাঁর বাবা মাকে #হত্যা করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার #সনদ নিতে যাননি। পরে দেশে নিরাপদ বোধ না করায় ১৯৯০ সালে এ ভারত চলে যান। শুধু নিরাপত্তার অভাবে একজন বীর #মুক্তিযোদ্ধা নিজের হাতে #স্বাধীন করা দেশে থাকতে পারেননি, এ বেদনার, লজ্জার।
#সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের জন্য শঙ্কিত হয়ে— #অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে লড়াই করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নব্বইয়ে #দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে— এরচেয়ে বড় বেদনার ও লজ্জার কিছু নেই। পরিচিত লোকেরা বলে তিনি বর্ডারের কাছেই নদীর পাড়ে বাড়ি করেছেন। আর ঘরের জানালায় বসে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
(তথ্যসূত্র: মুহাম্মদ #আতাউল #গণি ওসমানীর পিএস সালেকউদ্দিনের লেখা বই ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ’। এছাড়া দেবদুলাল মুন্না নিজেও ওনার সাথে ৮৮ সালে দেখা করেন। 'প্রিয় প্রজন্ম' ম্যাগাজিনে সেটার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল।) একাত্তরের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় তোলা ছবি এটি।
ছবি: অ্যান ডি হেনিং
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

১৯৫২ সালের দমদম এয়ারপোর্ট, কলিকাতা ।
যদিও সেই সময় #এয়ারপোর্ট বলা হত না । বলা হতো #এয়ারড্রম। এখন যেমন এত কড়াকড়ি, তখন তেমন টা ছিল না। প্লেনে চড়ার মত রাজকীয় #বিলাসিতা অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে ছিল, ফলে এখনকার মত সেই সময় এয়ারপোর্টে তেমন ভিড় হতনা। হাতে গোনা কিছু মানুষ এই কল্প যাত্রার অধিকারী ছিলেন। সেই সময় #টিকিট কেটে দ্বোতলায় উঠে অনেকেই তখন #প্লেন ওড়া দেখতে যেতেন। অনেক সময় কাউকে ছাড়তে এলেও তাই করতেন। এমনকি কাউকে প্লেনে ছাড়তে এলে বা ফ্লিম স্টার থেকে বড় #রাজনীতিবিদ বা মন্ত্রীরা গাড়ী করে সরাসরি প্লেনের সিঁড়ি অবধি যাবার অনুমতি পেতেন। এটা ৮০ দশকের সময় পর্যন্ত নিয়মিত ছিল পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক সময় #বন্ধ হয়ে যায় । জানি এমন #অভিজ্ঞতা ও অনেকের আছে যারা শুধু প্লেন ওড়া দেখতে টিকিট কেটে প্রতি সপ্তাহে দমদমে যেতেন এমন কি আমিও অনেকবার গেছি । এখন যা অনেকের কাছে হাস্যকর বলে মনে হবে।
ছবির উৎসঃ সাটারস স্টক
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

একটি রাউটারের মূল্য এক লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো টেন্ডার আহ্বান করা লক্ষ্মীপুর #পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত #অধ্যক্ষ #জহিরুল #ইসলাম এখনও প্রতিষ্ঠানটিতে বহাল তবিয়তে আছেন।
এরাই হলো #শিক্ষিত #চোর। এরাই দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে আবার এরাই আমাদের #নীতিবাক্য শোনায়।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

ফেইসবুক জুড়ে #লেখক #হুমায়ুন আহমেদ স্যারের মেয়ে #নোভা এর একটা বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে....
বক্তব্য টা অনেকটা এমন ছিলো:
"অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্যারেরা আমাকে আমার বাবার #পরিচয় দিয়ে পরিচিত করালেও আমি কিন্তু আমাকে আমার মায়ের #মেয়ে বলে মনে করি। আমার চিন্তা চেতনা আমার পথচলা আমি আমার মায়ের #আদর্শ অনুসরণ করেছি। আমি যখন পিএইচডি করছিলাম তখন আমার বাবা মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। বাবা আলাদা #সংসার শুরু করেছিল। ছোটভাই #নুহাশ
(নুহাশের কান্নাবিজড়িত লেখা টি পড়ুনঃ https://qoto.org/@Bangladesh/110547293749208265 )
তখন পড়ালেখা করছিল। আর বাবা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি জানি একজন মৃত মানুষ নিয়ে খারাপ কথা বলা উচিত না কিন্তু ভীষণ #কষ্ট করেছি আমরা। অনেক সময় মনে হয়েছে যে আজকের রাতটা বোধহয় আর #সকাল হবে না।"
নোভার এমন বক্তব্যে অনেকেই তার সাপোর্ট নিয়েছেন আবার অনেকেই তার সমালোচনা করছেন। তাদের ধারণা মতে হুমায়ুন #আহমেদ স্যারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা তার সন্তানেরা ভোগ করেও মিথ্যে বলছেন! যেটা উচিৎ হয়নি।
কিন্তু আমার কথা হলো- সুযোগ #সুবিধা দিলেই কী বাবার #দায়িত্ব পালন হয়ে যায়! এই সমাজে যে তাদের প্রতিটা মুহূর্তে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তার দায়ভার কে নিবে! তাদের #বাবা মায়ের সেপারেশন, তাদের বাবার অন্য নারীতে #আসক্ত- এবং তার কাছে চলে যাওয়া এবং নতুন ভাবে #সংসার শুরু করা... এর কী ব্যাখ্যা দিবেন আপনি!
এই যে দৈনিক দিন তাদের মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে- লোক সমাজে ছোট হতে হয়েছে...এর ই বা কী জবাব আছে আপনার কাছে! যারা শাওন কিংবা হুমায়ুন স্যারের হয়ে কথা বলেন তারা নিজেরা সেখানে নিজেদের রেখে #কল্পনা করুন তাহলেই বুঝবেন- নইতো বুঝবেন না।
জীবনের উপলব্ধি হচ্ছে- সন্তান মানুষ করার জন্য, বড় করার জন্য মায়ের পাশাপাশি বাবার ও প্রয়োজন পড়ে। যে সমস্ত সন্তান বাবা মায়ের যেকোন একজন কে পায় তারা ই শুধু বুঝে বাবা মা আলাদা থাকার মূল্য কী!
তাই নোভার এমন বক্তব্য শুনতে তিতা হলেও এটাই বাস্তবতা যে- লেখক হুমায়ুন স্যার যতটা #সফল ছিলেন #লেখক হিসাবে- ব্যক্তি হুমায়ুন স্যার ততটাই ব্যর্থ ছিলেন এবং সেটা একজন #বাবা হিসাবে, #অভিভাবক হিসাবে এবং অবশ্যই #স্বামী হিসাবে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা


কিছু করার জন্য শত বছর আয়ু দরকার নাই -
১২০ বছর আগে, #খাজা #সলিমুল্লাহ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দান করেছিলেন বুয়েটের (BUET) জন্য। তখন সেটার নাম বুয়েট ছিলো না। ছিলো ঢাকা সার্ভে স্কুল। সেটাকে তিনি রূপ দিলেন #আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে। (খাজা সলিমুল্লাহার বাবার নাম ছিলো আহসানউল্লাহ)
আজ থেকে ১২০ বছর আগে, ১ টাকার মূল্য কতো ছিলো ভাবতে পারেন? —আজকের দিনের আনুমানিক কয়েকশ টাকা।
১৯০৮ সালে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক সভায় বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক #প্রাথমিক শিক্ষার দাবি তুলেন তিনি। —চিন্তা করা যায়!
পূর্ব বাংলায় কোন #ইউনিভার্সিটি নেই। সলিমুল্লাহ সেটা মানতে পারলেন না। কি করা যায়, সে নিয়ে ভাবতে থাকলেন। ১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি, তখনকার ভাইস রয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় আসেন। হার্ডিঞ্জের সামনে দাবি নিয়ে দাঁড়ানোর মতো সাহস পূর্ব বাংলায় যদি কারো থাকে, সেটা একমাত্র সলিমুল্লাহর। তার বয়স তখন চল্লিশ #বছর। সে সময়ের ১৯ জন প্রখ্যাত মুসলিম লিডার নিয়ে তিনি হার্ডিঞ্জের সাথে দেখা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলেন। #ঢাকা #বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম অগ্রদূত তিনি।
#সলিমুল্লাহ ছিলেন আদ্যোপান্ত শিক্ষানুরাগী। পূর্ব বাংলায় শিক্ষার বিস্তারের জন্য, পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তিনি বহু বৃত্তি, বহু #প্রকল্প চালু করেন। ঢাকা #বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা এবং ঢাকা সার্ভে স্কুলকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপ দেয়া ছিলো তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান।
শিক্ষাকে যদি জাতির #মেরুদণ্ড বলা হয়, তাহলে পূর্ব বাংলার সেই মেরুদণ্ড তৈরিতে সলিমুল্লাহর চেয়ে বড়ো #ভূমিকা সম্ভবত বিংশ শতকে খুব বেশি কেউ রাখেনি। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে হয়তো পূর্ব বাংলার শিক্ষার জন্য আরো বহুকিছু করে যেতেন।
#নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের মৃত্যুবার্ষিকী (১৬ জানুয়ারি)। তাঁর জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

একটা জাতিকে #ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন নেই। আপনি সেই জাতির যুব সমাজকে মাদকে #আসক্ত এবং #শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিলেই হবে।
দুর্ভাগ্য জনক হলেও আমরা সেদিকেই যাচ্ছি...
আমার অ্যাকাডেমিক তিনটি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ছিল। অধিক #নম্বর পেয়ে ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হয়েছি। বিশ্বের প্রভাবশালী বাংলাদেশ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টদের কাছ থেকে গোল্ড মেডেল অর্জন করেছি। আমার বিশ্ববিখ্যাত স্কোপাস (Q2-Q4) ও ওয়েব অফ সাইন্সে কয়েক ডজন আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
ইচ্ছে ছিলো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে #শিক্ষকতা করার, এতো এতো পরিশ্রমের ফলাফলে পাত্তায় পেলামই না ঢাবিতে উল্টো বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাঞ্ছনা ও অপদস্ততার শিকার হয়েছি। -রাশেদ
অতঃপর তুরস্কের আঙ্কারা #বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় সিনেট বোর্ড লেকচারার পদের জন্য নমিনেশন না করে উল্টো #সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য চূড়ান্তভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে সুপারিশ করে। পরে তুরস্কের ইউজিসি সহকারী #অধ্যাপক হিসেবে আমাকে মনোনীত করেন।
একই সাথে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে #তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছ থেকে মোস্ট সাকসেসফুল স্টুডেন্ট এ্যাওয়ার্ড-২০১৯ লাভ করি।
#সাবেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক বারটিন বিশ্ববিদ্যালয়, #তুরস্ক
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

A Species of Minor
(A #Bird common to #Patna #Bihar #India )
c1820-30 CE #CompanyPainting from #Calcutta (#Kolkata) #Bengal on Bonhams online sale of 18-26th May 2023.
#IndianHeritage #History #Art #CompanySchool #Paintings #IndianHistory #CompanyPaintings #Heritage #BritishInIndia #EastIndiaCompany #MastoArt #Birds #Nature #Fauna #Painting #NaturalHabitat

@mitexleo @bengali_convo @masindia
আসলে আমাদের এ জাতি এখন রুচির দূর্ভিক্ষে আছে। না হলে #হিরো আলমের মূর্খকে রাজনীতিবিদের আসনে কেন বসাবো? না হলে #পরীমনি #ইস্যু নিয়ে কেন এত মাতামাতি হয়, না হলে রাজনীতিবিদদের মুখে পাগল প্রলাপ কেন, না হলে ৩০ টাকার #তরমুজ এক রাতেই ৮০ টাকা হয় কেন, না হলে বস্তাপচা কাহিনি চুরি করা মুভি কেন, না হলে সরকারের সমালোচনা করলেই জেলে যেতে হয় কেন? সামান্য ওসি বেগমপাড়ায় ৫ টা বাড়ি কেনে কেমনে? এস.পি এর বাড়ির ছাদ থেকে টাকার বস্তা নর্দমায় ফেলানো হয় কেন?
আসলে এদেশে জ্ঞানীর কদর করা হয় না। আর যেদেশে জ্ঞানীর কদর নেই সেদেশে #জ্ঞানী জন্মায় না। ভেতরে ভতরে অনেক ক্ষোভ জমে আছে। যা বলার জো নেই। বলতে গেলেই ডিজিটাল আইনে ফাসিয়ে জেলে ভরে দেবে। কত জ্ঞানী কে যে আমরা জেলে ভরে রেখেছি তার ইয়াত্তা নেই। সেই ২০১৫ সালে ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী ভাই কে অভিজিত হত্যাকান্ডে জড়িয়ে জেলে ভরে রাখছে এখনো জামিন দেয় নাই। ফারাবী ভাইয়ের মত জ্ঞানী ব্লগার আমি আর দেখিনি। সে খবর কেউ রাখে না। তাই এখন আর লিখি না। লোকালয় থেকে চুপিচাপি সরে এসেছি ফেডিতে। হয়তো একদিন হারিয়ে যাবো, বহু বছর পর যখন এ জাতি সভ্য হবে সেদিন আমার এই সব লেখা গুলো তাদের চোখে পড়বে। সেদিন বুঝবে এরকম হাজারো নাম পরিচয়হীন মানুষগুলো এদেশ টাকে নিঃস্বার্থ ভাবে কতটা ভালবাসে? দেশ টাকে নতুন করে সাজানোর চিন্তায় যারা বিভোর থাকে।
তাইতো আহমদ ছফা স্যার বলেছিল ----
https://qoto.org/@Bangladesh/110836276889088499 টুটের একাংশঃ
“আমার রাজনৈতিক সমর্থনের কথা ব্যক্ত করি। আমি #আওয়ামী লীগকে ভয় করি এবং বিএনপিকে পছন্দ করি না। এরশাদকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। জামায়াতের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। আমি একা নই, আমাদের দেশের অনেক মানুষ তাদের একটি পছন্দসই দলের অভাব মর্মে মর্মে অনুভব করে আসছেন।”
------ আহমদ ছফা
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
পুলিশের রাউন্ডের বাংলা যদি রোঁদ হয় তবে পাউন্ডের বাংলা কী ?
#বহুভাষাবিদ এই মানুষটির একখানা বদ অভ্যেস ছিল। ভদ্রলোক অস্থানে কুস্থানে ফাজলামো করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করতেন না। একবার লীলা রায় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন।
অন্নদাশংকরের স্ত্রী #লীলা #দেবী ছিলেন আদতে বিদেশিনী। জাত ইংরেজ ৷ বাংলা শিখেছেন, কিন্তু তাতে সাধু ভাষা বেশি এসে যায়। এটা অবশ্য তখনকার ইংরেজদেরও হত। বইতে যে ভাষা লেখা থাকত, মুখেও হুবহু সে ভাষা এসে যেত। তো লীলা রায় বাগানে গাছ পরিচর্যা করছেন, এমন সময় #মুজতবা আলী সাহেবের আগমন। অমায়িক হেসে জিজ্ঞেস করলেন "আপনার স্বামী কোথায়?"
লীলা রায় হেসে জবাব দিলেন " উনি ঘরে। সৃষ্টির কাজে ব্যাপৃত আছেন।"
চোখ কপালে তুলে আলী সায়েব বললেন, "তাহলে আপনি এখানে কী করছেন ম্যাডাম?" 😆😆
আলী সাহেবের অন্য ফাজলামোও আছে। পুলিশের রাউন্ডের বাংলা রোঁদ করা হলে আলি সায়েব নাকি সবিনয়ে জানতে চেয়েছিলেন পাউন্ডের বাংলাও একই ভাবে করা হবে কিনা। 🤣
ভদ্রলোকের এক কথা। শতং বদ। মা লিখ। বলতেন “সাঁওতালরা হাঁড়িতে ভাত থাকলে কাজে যায় না। আমিও পকেটে #পয়সা থাকলে লিখি না”। কিন্তু আড্ডাবাজ এই মানুষটা একা মাতিয়ে রাখতেন চারদিক। একবার হীরেনবাবু না কে যেন এসেছেন। আলি সাহেব তাঁকে এগিয়ে দিতে দিতে অনেকটা চলে এসেছেন। হীরেনবাবু আর না পেরে বললেন “আলি সাহেব, আপনি কি সবাইকেই এমন এগিয়ে দেন?”
“আজ্ঞে হ্যাঁ।“
“কতটা এভাবে এগিয়ে দেন?”
“যতটা এগিয়ে দিলে সে আবার ঘুরে আমার বাড়ি ফিরে আসতে পারবে না”।
শান্তিনিকেতনের অন্যান্য দর্শনীয় বস্তুর সঙ্গে #সৈয়দ #মুজতবা আলীও একজন দর্শনীয় মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। একবার একটি দলের কাছে জানতে চাইলেন,
"শান্তিনিকেতনে এসেছ কী কী দেখতে? ক্ষিতিমোহনবাবুকে দেখেছ?"
ওরা বললো,দেখেছি ...
"নন্দলাল বসুকে?"
—"হ্যাঁ,দেখেছি।" ....
"হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে?"
"আজ্ঞে, তাঁকেও দেখেছি।"
তারপরেই মুজতবা আলী সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন,"ও,বাঘ সিংহ সব দেখে,এখন বুঝি খট্টাশটাকে দেখতে এসেছ !!"
#ফাজিল কথাটার মানে এখন বখাটে বা বাচাল হলেও মূল আরবী ও উর্দুতে এর মানে নিতান্ত জ্ঞানগম্যিওয়ালা মানুষ। ইসালামীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিন, নিয়মিত #ফাজিল পরীক্ষা হয়।
মুজতবা আলীরই কোন এক গল্পে পড়েছিলাম, এক ট্যাক্সি ড্রাইভার এক মহিলা আর তাঁর #শিশু নিয়ে যাচ্ছে। পথে পড়ল এক লালবাতি পাড়া। শিশুটি মা- কে বলল "মা এই মহিলারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেন?"
মা বললেন "ওঁরা ওদের স্বামীদের জন্য #অপেক্ষা করছে।"
শুনে ড্রাইভারের একটু ফাজলামোর ইচ্ছে হল।
বলল "কেন বাচ্চাকে #ভুল শেখাচ্ছেন বউদি? না বাবা। এরা খারাপ মহিলা। এরা টাকার জন্য যে কোন লোককে নিজের বর বানায়।"
#ছেলে এবার জিজ্ঞেস করল "মা, এঁদের যে বাচ্চা হয়, তাঁরা কি করে?"
মা বললেন, " কি আর করবে বাবা, ট্যাক্সি চালায়, আর লোকের কথায় নাক গলায়।"
এমনই #মজার মানুষ ছিলেন লোকটা। বাংলায় #রম্য #রচনা বা বেলে লেতরের শেষ কথা, কি অনায়াসে বলতে পারেন-
"তুমি আমার বিরহে অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না,
আমার মিলনে তুমি #অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না"
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

সম্প্রতি #আওয়ামী পরিকল্পনা মন্ত্রী #আব্দুল #মান্নান বলেছেন তাদের #সরকার #ঋণ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করছেন যার সুফল পরবর্তী প্রজন্ম পাবে এবং তারাই এই ঋণ শোধ করবে। এদিকে #মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত মন্ত্রীর জীবনী থেকে দেখা যাচ্ছে তার মেয়ে যিনি একজন ডাক্তার, তিনি থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে তার ছেলে, যিনি বার্ক্লেস ব্যাংকে চাকরি করেন, তিনি থাকেন যুক্তরাজ্যে।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

জানুয়ারি ২০০১ সাল: মানিক মিয়া এভিনিউতে ভক্স ওয়াগন ক্লাব সদস্যরা একটি র্যালির আয়োজন করে।
সংসদ ভবনের সামনে সেদিন ৩০টির অধিক ১৯৬৫ সালের মডেল একত্রিত হয়।
সৌজন্যে: বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে #অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রিসার্চ ফেলো মিজানুর রহমান স্যারের লেকচার চলাকালীন হুট করে #মুনতাসীর মামুনের নির্দেশে তার আর্টিকেল প্রেজেন্টেশন #বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উনার আলোচনার সারকথা বলার সময়ে, উনারা আরকিওলজিকাল গবেষণার ভিত্তিতে একটা #প্রাচীন মসজিদের #সন্ধান পেয়েছেন।
যেটা শুনার সাথে সাথে মুনতাসীর #মামুন, #শরীফ আহমেদরা নিতে পারেন নাই। কথিত প্রধান অতিথির ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে পেপার #প্রেজেন্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা



নবাবজাদি #পরিবানু
-----------------------------------
পুরান ঢাকার #নবাব পরিবারের বিদুষী সদস্যা পরিবানুর জন্ম ১৮৮৪ সালের ১ জুলাই #আহসান মঞ্জিলে।
পিতা নবাব খাজা আহসান #উল্লাহ, মাতা #কামরুন্নেসা বেগম। তিনি গৃহ শিক্ষক ও গৃহপরিচারিকার নিকট আরবি, ফারসি ও ইংরেজি শিক্ষাগ্রহণ করেন।
দৃঢ় মনোবলের অধিকারী পরিবানু ঘোড়ায় চড়াও শিখেছিলেন। পিতা নবাব আহসান উল্লাহ তাঁকে জমিদারির কাজকর্মও শেখান। তিনি এক পর্যায়ে পরিবানুকে তাঁর উত্তরাধিকারী করার #পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু নবাব বাহাদুরের আকস্মিক মৃত্যুতে সেটা সম্ভব হয়নি।
নবাব পরিবারের #খাজা ভোলা মিয়ার পুত্র খাজা বদরুদ্দিনের সাথে পরিবানুর #বিয়ে হয় ১৯০০ সালে। তিনি ঢাকার দিলখুশায় বাস করতেন।
১৯১৯ সালে পরিবানু ৬০ বিঘা জমিসহ #শাহবাগ বাগানবাড়ির দক্ষিণাংশ নবাব হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।
এরপর থেকে তিনি ঢাকার সম্ভ্রান্ত মহিলাদের বেড়ানোর জন্য প্রতি #শনিবার বাগানটি উন্মক্ত রাখার ব্যবস্থা করেন।
এ বাগান থেকেই পরবর্তীকালে এলাকাটি পরিবাগ নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
১৯২৪ সালে ঢাকায় #কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা ও তার উন্নয়নে পরিবানু এবং তাঁর অপর বোনেরা মিলে লক্ষাধিক #টাকা ব্যয় করেন।
১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং ঢাকার বেগমবাজারের পরিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। গতকাল ১ লা জুলাই ছিল শুভজন্মদিন, শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏
তথ্যসূত্র: 'ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য'১ জুলাই ২০০৯।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

শরৎচন্দ্রের সমাজ-চেতনা
শরৎ সাহিত্যকে পূর্বাপর অনুধাবন করলে সেটার মধ্যে চিন্তার কিছু দ্বৈধতা লক্ষ্য করা যায়। ব্যক্তির স্তরে, শরৎচন্দ্র যেখানে ব্যক্তি মুক্তির একজন প্রবল উদ্গাতা; সেখানে পারিবারিক স্তরে, তিনি বেশ কিছু পরিমাণে #রক্ষণশীল; এবং ব্যক্তি ও পরিবার নিয়ে গঠিত যে সমাজ, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কখনও স্বাধীনতার #অনুরাগী, আবার কখনও রক্ষণশীলতার পক্ষপাতী ছিলেন বলে দেখতে পাওয়া যায়। সমাজের প্রসঙ্গে কখনও তিনি ভাঙনের জয়গান করেছিলেন, কখনও বিদ্রোহের মন্ত্রণা দিয়েছিলেন, আবার কখনও একেবারে বিপরীত প্রান্তে চলে গিয়ে প্রচলিত সামাজিক কাঠামোর সংহতি রক্ষার প্রয়োজনীতার উপরে জোর দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, এক কথায় বলতে গেলে, শরৎ সাহিত্যের পরিবেশিত ভাবধারায় পূর্বাপর কোন সামঞ্জস্য দেখতে পাওয়া যায় না; তাঁর এক সময়ের #ভাবনা অন্য সময়ের ভাবনার দ্বারা খণ্ডিত, এবং এক বইয়ের বক্তব্য অন্য বইয়ের বক্তব্যে অস্বীকৃত হয়েছিল বলে দেখা যায়। অবশ্য এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। কারণ, কোন বড় লেখকের মনোজীবনই সবসময় একটা সোজা সরল রেখায় অগ্রসর হয় না। তাঁর জীবনের চলবার পথে বাঁক থাকে, সেই বাঁক কখনও ডাইনে, তো কখনও আবার বাঁয়ে মোড় নেয়; আবার কখনও সেই পথ সম্পূর্ণ উল্টোমুখে ঘুরে যায়। এই অসামঞ্জস্য বা স্বতোবিরোধ লেখককে কখনোই ছোট করে না, বরং শিল্পীর মানসিকতা যে প্রায়শঃ খুবই জটিলতামণ্ডিত, এবং বহু পরস্পর-বিরোধিতার আধারস্থল হয় - সেই সত্যিকেই জানিয়ে দিয়ে যায় মাত্র। চিন্তার অসামঞ্জস্যহীন সরল গতি মাঝারি মাপের শিল্পীর লক্ষণ, কিন্তু একজন মহৎ শিল্পীর ব্যক্তিত্বের বিবর্তনের ছকের ভিতরে কিছু না কিছু আত্মখণ্ডন অবশ্যই থাকবে। এমনকি অনেকে এটাও বলে থাকেন যে, কন্ট্রাডিকশন মহৎ মনের ধর্ম। শরৎ সাহিত্যের এই যে দ্বৈধতা এবং স্বতোবিরোধ - এটার একাধিক কারণ মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের আলোয় নিরূপণ করা সম্ভব; তবে চেষ্টা করলে শরৎচন্দ্রের জীবনীর ছক থেকেই এমন ধরণের অসামঞ্জস্যের কিছু কারণও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
শরৎচন্দ্র হুগলী জেলার এক নির্বিত্ত কুলীন ব্রাহ্মণ বংশে #জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাঢ়দেশীয় কুলীন ব্রাহ্মণের বহু অন্ধ সংস্কার তাঁর মজ্জার মধ্যে ছিল। নিজের জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি সেগুলোকে কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি যেমন ব্রাহ্মণের উপবীতের মহিমায় বিশ্বাস করতেন; ছোঁয়াছুঁয়ি বাঁচিয়ে চলবার সার্থকতায় #বিশ্বাস করতেন; সন্ধ্যাহ্নিক পূজা-অর্চনা, স্বপাক আহার, স্বপাক আহারের অভাবস্থলে কেবলমাত্র স্বজাতির প্রস্তুত আহার গ্রহণ দ্বারা দৈহিক ও মানসিক শুচিতা রক্ষা করবার চেষ্টা প্রভৃতি ব্রাহ্মণোচিত আচার-প্রথা পালনের সার্থকতায় বিশ্বাস করতেন; জাতপাতের ভেদ মেনে চলায় বিশ্বাস করতেন; তিনি অসবর্ণ বিবাহরীতির প্রতি নিতান্ত কুণ্ঠিত সমর্থন জানিয়েছিলেন - ইত্যাদি নানা ধরণের নিদর্শনের মধ্যে দিয়ে শরৎচন্দ্রের সেই গতানুগতিক সংস্কারানুগত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। হিন্দু ঘরের বিধবার পুনর্বিবাহের যৌক্তিকতাতেও তিনি পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করতেন বলে মনে হয় না; কারণ, তাঁর লেখা এমন একটি গ্রন্থেরও সন্ধান পাওয়া যায় না, যেটার কাহিনী-বৃত্তের ঘটনা সংস্থাপনের মধ্যে বিধবার পুনরায় বিয়ে দেওয়ার মত মনোবল তিনি সংগ্রহ করে উঠতে পেরেছিলেন বলে দেখতে পাওয়া যায়। যদিও সেরকম কিছু ঘটানোর সম্ভাবনা তাঁর একাধিক গল্প-উপন্যাসের কাহিনীর মধ্যেই ছিল। দৃষ্টান্তস্বরূপ, তাঁর পল্লীসমাজের রমা ও রমেশের মধ্যকার ভালবাসার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি তাঁর একাধিক ভাষণে ও প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্রের বিধবাদের প্রতি নিষ্করুণতার সমালোচনা করেছিলেন, কিন্তু তিনি নিজে সেবিষয়ে #বঙ্কিমচন্দ্রের থেকে যে বেশি উদারতা দেখিয়েছিলেন, এমন কোন প্রমাণ কিন্তু পাওয়া যায় না। যদি বলা হয় যে, শরৎচন্দ্রের প্রতি আরোপিত এই সব #অভিযোগ মনগড়া কল্পনামাত্র, সেক্ষেত্রে কিছু কিছু উদাহরণের সাহায্যে অভিযোগগুলির সারবত্তা প্রতিপাদনের চেষ্টা করা যেতে পারে। কিছুক্ষণ আগেই বিধবাবিবাহের প্রতি শরৎচন্দ্রের মনোভাব প্রসঙ্গে পল্লীসমাজের রমা-রমেশের কথা বলা হয়েছে।
ছোঁয়াছুঁয়ি তথা আহারের শুচিতা রক্ষা প্রভৃতি সংকীর্ণচিত্ত অভ্যাসগুলি সম্পর্কে শরৎচন্দ্রের মনোভাব বোঝাবার জন্য তাঁর দুটি উপন্যাসের দৃষ্টান্ত দিলেই যথেষ্ট হবে। সেই দুটি উপন্যাস হল - চরিত্রহীন ও পথের দাবী। চরিত্রহীনে সতীশ মদ্যপ, মন্দ বন্ধুর প্ররোচনায় পড়ে অস্থান-কুস্থানে চলে যাওয়ার অভ্যাসও তাঁর ছিল; কিন্তু দু’বেলা নিয়মমাফিক সন্ধ্যাহ্নিক আচমনাদি ইত্যাদি না করলে তাঁর চলত না। আর মেসের ঝি সাবিত্রীর তো একটা প্রধান কাজই ছিল, রোজ সকাল ও সন্ধ্যায় সতীশবাবুর সন্ধ্যাহ্নিকের জায়গাটা নিকানো, পূজার আসন, কোশাকুশি আর গঙ্গাজল এগিয়ে দেওয়া। শরৎ-সাহিত্যে এত আচারনিষ্ঠার বাড়াবাড়ি এক এক সময়ে আদিখ্যেতা বলেই বলে মনে হয়। বলা যেতে পারে যে, সতীশের চরিত্রকে নিখুঁতভাবে আঁকবার জন্য তাঁর ব্যক্তিত্বের ওই দিকটাকে দেখানোর প্রয়োজন ছিল; কিন্তু এই যুক্তির উত্তরে এটাও বলা যেতে পারে যে, সেক্ষেত্রে লেখকের নিজের আচার-মনস্কতাই তাঁর বর্ণিত চরিত্রের উপরে প্রক্ষিপ্ত হয়েছিল, নয়ত অতদূর বাড়াবাড়ি কখনও সম্ভব ছিল না। কিন্তু এই ছোঁয়াছুঁয়ি বিষয়ে শরৎচন্দ্রের পথের দাবী উপন্যাসের অপূর্ব চরিত্রটি সবচেয়ে বেশি অবাক করে। #হালদার বংশীয় সেই যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ উপাধিধারী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি কলকাতা থেকে জীবিকার প্রয়োজনে তথাকথিত ম্লেচ্ছের দেশ বর্মা মুলুকে বোখা কোম্পানীর চাকরি নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও ছোঁয়াছুঁয়ির শুচিবাই তাঁর আর কিছুতেই ঘুচতে চায়নি। নিজের আচার-বিচারের খুঁতখুঁতেপনায় তিনি বাংলার শুচিবায়ুগ্রস্ত বিধবাকেও হার মানিয়েছিলেন! তিনি নাকি অত্যন্ত মাতৃভক্ত সন্তান ছিলেন, তাই পাছে মায়ের প্রাণে ব্যথা লাগে সেই কারণে ওই দূর দেশে গিয়েও নিজের আহারে-বিহারে ব্রাহ্মণোচিত আচার-পরায়ণতা রক্ষায় সতত সচেষ্ট ছিলেন। সেই ব্যাপারে তাঁর এমনই সতর্কতা ছিল যে, শুচিতার ক্ষেত্রে পান থেকে চুন খসবার জো পর্যন্ত ছিল না! তাঁর মা ছেলেকে প্রাণ ধরে বর্মা মুলুকে আসতে দেওয়ার সময়ে পরিবারের অত্যন্ত বিশ্বাসী পাচক ঠাকুর তেওয়ারীকে তাঁর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন বলে রক্ষা, নইলে অপূর্বর হয়ত সেই ম্লেচ্ছের দেশে যাওয়াই হত না। সেই তেওয়ারী মায়ের বকলমে অপূর্বকে সতত আগলে রাখতেন, আর অপূর্ব তেওয়ারীর বকলমে অকুস্থলে অনুপস্থিত মায়ের কাছে তাঁর নির্ভেজাল শুচিতার নিত্য পরীক্ষা দিতেন। অমনভাবে প্রভু ও ভৃত্য - দু’জনে মিলে রেঙ্গুন শহরের বুকের উপরে হিন্দুয়ানীর একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ খাড়া করে তুলেছিলেন। অপূর্ব খৃষ্টান ঘরের কন্যা ভারতীকে মনে মনে ভালোবাসলেও তাঁর হাতে খেতে-ছুঁতে তাঁর প্রবল আপত্তি ছিল বলে দেখতে পাওয়া যায়। অপূর্ব সরকার মশাইয়ের পরিচালিত ব্রাহ্মণ হোটেলের কদন্ন খেতে রাজি ছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি ভারতীর সযত্নে প্রস্তুত আহার্য মুখে তুলতে রাজি ছিলেন না। অতীতের কয়েকজন #সাহিত্য সমালোচকের মতে, অপূর্বর আচারের সেই গোঁড়ামির চিত্র পথের দাবী উপন্যাসের গোড়ার দিকের অনেকগুলি পৃষ্ঠা এমনভাবে জুড়ে রয়েছে যে, ওই এককালীন রাজরোষ নিগৃহীত প্রসিদ্ধ উপন্যাসের বৈপ্লবিকতার স্বাদ সেটার ফলে অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে বললেও চলে। অথচ ওই জিনিসটা কিন্তু পথের দাবীর মত একটা বইয়ের পক্ষে অপরিহার্য ছিল না, শুধুমাত্র শরৎচন্দ্রের অতিরিক্ত আচার-বিচারের ‘বাই’ - ব্রাহ্মণত্বাভিমান - কাহিনীর ধারার ভিতর অনুপ্রবিষ্ট হয়ে সেই বিভ্রাটের সৃষ্টি করেছিল।
শরৎচন্দ্রের বিপ্রদাস উপন্যাসেও ছোঁয়াছুঁয়ির প্রসঙ্গ খুব একটা কম কিছু নেই। শরৎ সাহিত্যে প্রসঙ্গটির উপর্যুপরি অবতারণা পৌনঃপুনিকতার একঘেয়েমিতেও রূপান্তরিত হয়েছে বললে অন্যায় কিছু বলা হয় না। শরৎচন্দ্রের গৃহদাহ উপন্যাসের ডিহরী প্রবাসী সদাশয় #বৃদ্ধ বাঙালী ব্রাহ্মণ রামচরণ লাহিড়ীর চরিত্র চিত্রণের মধ্যে দিয়ে স্বপাক আহারের মহিমা উদঘোষিত হয়েছে বলে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি সচরাচর নিজে রেঁধে খেতেই অভ্যস্ত ছিলেন, পারতপক্ষে অন্যের #রান্না ছুঁয়ে দেখতেন না। ব্রাহ্মদের প্রতি রামবাবুর বিতৃষ্ণার কোন অন্তঃ ছিল না। সেই বিতৃষ্ণা শরৎচন্দ্রের নিজেরও কিছুটা ছিল, তাঁর দত্তা উপন্যাসের রাসবিহারী চরিত্রটি আর গৃহদাহের কেদারবাবু চরিত্রটি সেটার প্রমাণ দেয়। সেখানেও লেখকের অনীহা তাঁর সৃষ্ট ওই দুই চরিত্রে প্রযুক্ত হয়েছিল বললে অন্যায় কিছু বলা হয় না। যাই হোক, #গৃহদাহ উপন্যাসের রামচরণ লাহিড়ী, যাঁরা হিন্দু সমাজের গণ্ডী ত্যাগ করে নিজেরা একটা আলাদা সমাজ গড়ে তুলেছিলেন, তাঁদের তিনি মনে মনে কোনদিনই ক্ষমা করতে পারেননি। কিন্তু গৃহদাহের উপসংহার অংশে দেখতে পাওয়া যায় যে, রামবাবুর আত্যন্তিক স্বজাতিপ্রীতি আর আচারনিষ্ঠার দুর্গপ্রাকার শেষপর্যন্ত তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল। এক্ষেত্রে শরৎচন্দ্র আর সংস্কারচালিত কোন লেখক হয়ে থাকেননি, বরং সংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে নিরাসক্ত দৃষ্টিতে সমাজপ্রবাহকে লক্ষ্য করবার মত শিল্পীজনোচিত প্রকৃত শক্তিমত্তাই তাঁর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল। গৃহদাহে রক্ষণশীলতার উপরে প্রগতির জয় হয়েছিল।
কিন্তু কৌলিক সংস্কারের ঊর্ধ্বে শরৎচন্দ্রের ব্যক্তিত্বের আরেকটি দিক অবশ্যই ছিল, সেখানে তিনি বিস্ময়কররূপে স্বাধীন ও মুক্ত প্রকৃতির #মানুষ ছিলেন। তাঁর ভবঘুরে, বাউণ্ডুলে জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতাই তাঁর সেই মুক্তমনা স্বরূপের কারণ ছিল। চন্দননগরে #প্রবর্তক সঙ্ঘের ডাকা একটি আলাপসভায় (১৩৩৭ বঙ্গাব্দ) আলাপচারীতার প্রসঙ্গে তিনি তাঁর প্রথম জীবনের সেই দিকটির একটি অকপট আভাস দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “ #অভিজ্ঞতা না থাকলে ভাল কিছুই লেখা যায় না। অভিজ্ঞতা লাভের জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। অতি ভদ্র শান্তশিষ্ট জীবন হবে, আর সমস্ত অভিজ্ঞতা লাভ হবে - তা হয় না। বলেছি - ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক আমাকেও চার পাঁচবার সন্ন্যাসী হতে হয়েছিল। ভাল ভাল সন্ন্যাসীরা যা করেন সবই করেছি। গাঁজা মালপো কিছুই বাদ যায়নি। … বিশ বছর এইটাতে গেল। এই সময় খানকতক বই লিখে ফেললুম। ‘দেবদাস’ প্রভৃতি ঐ আঠার-কুড়ির মধ্যে লেখা। তারপর গান বাজনা শিখতে লাগলুম। পাঁচ বছর এতে গেল। তারপর পেটের দায়ে চলে গেলাম নানা দিকে। প্রচণ্ড অভিজ্ঞতা তাই থেকে। এমন অনেক কিছু করতে হত যাকে ঠিক ভাল বলা যায় না। তবে সুকৃতি ছিল, ওর মধ্যে একেবারে ডুবে পড়িনি। দেখতে থাকতাম, সমস্ত খুঁটিনাটি খুঁজে বেড়াতাম। অভিজ্ঞতা জমা হত। সমস্ত island-গুলা (বর্মা, জাভা, বোর্ণিয়ো) ঘুরে বেড়াতাম। সেখানকার #লোক অধিকাংশ ভাল নয় - smugglers; এইসব অভিজ্ঞতার ফল - ‘পথের দাবী’। বাড়িতে বসে আর্মচেয়ারে বসে #সাহিত্য #সৃষ্টি হয় না, অনুকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু সত্যিকার মানুষ না দেখলে সাহিত্য হয় না। ... মানুষ কি, তা মানুষ না দেখলে বোঝা যায় না। অতি কুৎসিত নোংরামির ভিতরও এত মনুষ্যত্ব দেখেছি যা কল্পনা করা যায় না।” এই উদ্ধৃতিটির মধ্যে দিয়ে লেখকের জীবনের যে রূপরেখাটি পাওয়া যায়, সেটা কিন্তু সচরাচর প্রচলিত বাঙালী মধ্যবিত্ত জীবনের ছাঁচের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। সেটার জাত-গোত্র সম্পূর্ণভাবে আলাদা। শরৎচন্দ্রের জীবনীর ছাঁচ সম্পূর্ণ ‘unconventional’ বা গতানুগতিকত্বরহিত। তবে সেটাকে শুধু ‘unconventional’ বললেই সবটুকু বলা হয় না, সেটাকে বৈপ্লবিক বলা উচিত। যে মানুষটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের চলবার পথে সুন্দর-কুৎসিত কালো-সাদা জটিল-অজটিল নানা বিচিত্র বহুমুখী অভিজ্ঞতার উজান ঠেলে এগিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁর গায়ে কৌলিক সংস্কার পুরোপুরি সংলগ্ন হয়ে থাকা কি সম্ভব ছিল? তাঁর জীবনযাপনের ধরনই তো তাঁকে বংশগতির প্রভাব থেকে মুক্ত করবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সহায়ক হয়েছিল। শরৎচন্দ্র তাঁর জীবনের প্রতিটি স্তরে একজন প্রকৃত শিল্পীর জীবনযাপন করে গিয়েছিলেন; আর একথা বলাই বাহুল্য যে, একজন শিল্পীর জীবনে কৌলিক সংস্কারের লেশ খুব একটা অবশিষ্ট থাকে না, থাকলেও সেটা সর্বসংস্কারমুক্তির আবেগের তলায় চাপা পড়ে নিতান্ত পিষ্ট হয়ে পড়ে।
কিন্তু তবুও শরৎচন্দ্রের সত্তায় ব্রাহ্মণত্বের অভিমান যে ঘুচেও ঘুচতে চায়নি, সেটা এই কারণে যে, তিনি তাঁর সমস্ত বিবর্তন-পরিবর্তনের মধ্যেও সেটিকে সজ্ঞানে সযত্নে লালন করেছিলেন। সেটা সম্ভব হয়েছিল, কিছুটা তাঁর বাল্য ও কৈশোর জীবনের প্রতি মমত্ববশতঃ, আর কিছুটা রাঢ়দেশীয় কুলীন ব্রাহ্মণের মজ্জাগত অনুদারতার জন্য। কথাটা খানিকটা প্রাদেশিক শোনালেও একথা বলতেই হবে যে, শরৎচন্দ্রের মত একজন ব্রাহ্মণের মনোগঠনের ভিতরে অন্ধ আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি আসক্তি, ছোঁয়াছুঁয়ি জাত-বিচারের প্রবণতা, পুরনো রীতিনীতিকে আঁকড়ে থাকবার মোহ প্রভৃতি যুক্তিহীন মনোবৃত্তি প্রায় দিনের সঙ্গে রাত্রি অথবা আলোর সঙ্গে অন্ধকার অচ্ছেদ্যভাবে সংলগ্ন থাকবার মত উচ্চশিক্ষা আর সাংস্কৃতিক পালিশ সত্ত্বেও অস্তিত্বের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে লেপ্টে ছিল। সেই কারণেই শরৎচন্দ্রের ব্যক্তিত্বের মধ্যে এক অদ্ভুত দ্বৈধতার সমাবেশ দেখতে পাওয়া যায়। তিনি নিজের বাস্তব জীবনের বহুমুখী অভিজ্ঞতার দৌলতে একজন সর্বসংস্কারমুক্ত পুরুষ যেমন ছিলেন, তেমনি পক্ষান্তরে কৌলিক স্তরে সংস্কারের হাতে-ধরা বশংবদ প্রকৃতির একটি জীবও ছিলেন। নইলে এমন অবিশ্বাস্য, অসম্ভব ব্যাপার কি করে সম্ভব হয়েছিল যে, যিনি বাংলা সাহিত্যে বিপ্লবী ঐতিহ্যের অনুসরণে অভয়া, কিরণময়ী, সব্যসাচী, কমলের মত অবিস্মরণীয় সব চরিত্রের সৃষ্টি করেছিলেন, তাঁদের কর্ম ও কথার মধ্যে দিয়ে বিদ্রোহের জয়ধ্বজা উড়িয়ে দিয়েছিলেন; সেই তিনিই আবার তাঁর স্নেহের ভগিনীর কাছে অকপট স্বীকারোক্তি করেছিলেন - “দিদি, আমি কোন কালে খাওয়া ছোঁয়ার বাছবিচার করিনে, কিন্তু মেয়েদের হাতে আমি কোনদিন কিছু খাইনে। শুধু খাই তাঁদের হাতে যাঁদের বাপ মা দু’জনেই ব্রাহ্মণ এবং বিয়েও হয়েছে ব্রাহ্মণের সঙ্গে। ... সমাজভুক্ত হোন তাতে আসে যায় না, কিন্তু ঐ রকম মেশানো জাত হলে আমি তাঁদের ছোঁয়া খাইনে। তাঁরা বলে শরৎবাবু শুধু লেখেন বড় বড় কথা, কিন্তু বাস্তবিক তিনি ভারি গোঁড়া। আমি গোঁড়া নই লীলা, কিন্তু শুধু রাগ করেই এঁদের হাতে খাইনে।” (লীলারাণী গঙ্গোপাধ্যায়কে লিখিত পত্রের অংশ) শরৎচন্দ্রের এই স্বীকারোক্তিমূলক পত্রাংশ থেকে দুটি জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। প্রথমতঃ, মুখে অস্বীকার করলেও তিনি খাওয়া-ছোঁয়ার বাছবিচার মানতেন। বাছবিচারের বেলায় ব্রাহ্মণের প্রতি তাঁর বিশেষ পক্ষপাত ছিল। দ্বিতীয়তঃ, কোন একটি বিশেষ সমাজভুক্ত নারীদের প্রতি তাঁর অন্তরের বিরাগ ছিল। #লীলারাণী গঙ্গোপাধ্যায়কে শরৎচন্দ্রের লিখিত সংশ্লিষ্ট #চিঠি ও অন্যান্য চিঠিগুলি (শরৎ-সাহিত্য সংগ্রহ, ত্রয়োদশ সম্ভার দ্রষ্টব্যঃ) পর্যালোচনা করলে একথা বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয় না যে, তিনি সেখানে ব্রাহ্মসমাজের নারীদের কথাই বলতে চেয়েছিলেন। একজন বহুদর্শী বহুশ্রুত মানুষের, বিশেষ করে শিল্পী মানুষের জীবনে ওই ধরণের সাম্প্রদায়িক অনুদারতা থাকাটা যে বাঞ্ছনীয় নয়, সে কথা শরৎচন্দ্রের মত সংবেদনশীল লেখকের থেকে আর বেশী কে জানতেন? কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি তাঁর সেই সংকীর্ণচিত্ত বিরাগকে ভাষা না দিয়ে থাকতে পারেননি। অতি বড় মহৎ লেখকের জীবনেও যে কত সময়ে কত কুসংস্কার বাসা বেঁধে ফেলে, এটা সেটারই একটা প্রমাণ। এখন এটা নিয়ে আক্ষেপ জানানো চলে, কিন্তু তা বলে হয়কে নয় করা চলে না।
অনেকের মতে শরৎচন্দ্রের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যে অফুরন্ত মালমশলা ছিল, যে সুবিশাল মানবীয় জ্ঞানের পুঁজি ছিল, সেসব ব্যবহার করে তিনি আরও অনেক বড় লেখক হতে পারতেন; একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী মননশীল লেখকরূপে অসংশয় প্রতিষ্ঠা পেতে পারতেন; কিন্তু শুধু তাঁর সেই অনুদার প্রাদেশিকতা আর সাম্প্রদায়িকতাই তাঁকে সেটা হতে দেয়নি, সেগুলোই তাঁকে সেসব পেতে দেয়নি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সেখানেই তাঁর মৌলিক পার্থক্য ছিল। রবীন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে নিজের জীবনারম্ভ করেছিলেন, তারপরে জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতার অধ্যায়কে সোপানরূপে ব্যবহার করে সেগুলিকে ধাপে ধাপে পেরিয়ে, জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছিলেন, সেখানে আন্তর্জাতিকতার বিরাট অঙ্গন বিস্তৃত ছিল, ও তাতে বিশ্বের সর্বজাতির মেলা বসেছিল। সেখান থেকে তাঁর জন্মক্ষেত্র জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িকে সুদূর নীহারিকালোকের ধূম্রপুঞ্জের মত অস্পষ্ট আভাসে চোখে পড়ত মাত্র, তবে সেটার থেকে বেশী অনুভব করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু শরৎচন্দ্রের বেলায় তেমন কিছু ঘটেনি। তিনি বর্মা, জাভা, বোর্ণিয়ো ইত্যাদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি পরিক্রমা করলেও, এবং নিজের জীবনে বিচিত্র-বিপুল-বিবিধ অভিজ্ঞতার শরিক হয়ে অগুণতি মানুষকে চরে খেলেও, তাঁর মনের এক কোণায় কিন্তু আমরণ #হুগলী জেলার #দেবানন্দপুর গ্রামই সংসক্ত হয়ে ছিল। সেখানকার পেছুটান তিনি কোন সময়েই কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই তাঁর মধ্যে অত বৈসাদৃশ্য, অত অসামঞ্জস্য, অত স্ববিরোধ দেখতে পাওয়া যায়। তাই তিনি পথের দাবীর মত রাজনৈতিক বিপ্লব আর শেষ প্রশ্নের মত সামাজিক বিপ্লবের বাণীবাহক উপন্যাসের স্রষ্টা হয়েও, বাংলার একজন শ্রেষ্ঠ গার্হস্থ্য জীবনের রূপকার, এবং অতুলনীয় পারিবারিক গল্পোপন্যাসের অমর কথাকার হতে পেরেছিলেন। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে, বাংলার পাঠক-পাঠিকারা তাঁর বৈপ্লবিক রূপটাকে তেমনভাবে নেননি, যেমনভাবে তাঁরা তাঁর সেই সাধারণ সুখ-দুঃখ-বেদনায় ভরা গৃহসংসারের স্নিগ্ধ-মধুর চিত্রগুলিকে নিতে পেরেছেন। তাহলে কি শরৎচন্দ্রের সংস্কারমুক্ত বৈপ্লবিকতা নিষ্ফল হয়েছে? তাঁর সংস্কারানুগত গৃহবদ্ধ পারিবারিক শিল্পীর রূপটাই কি সব কিছুকে ছড়িয়ে বাঙালী পাঠক-পাঠিকার চিত্তজয় করেছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া মোটেও সহজসাধ্য নয়। তবে শিল্পের একটি বিচিত্র খেয়াল হল যে, অনেক সময়ে পাঠক-পাঠিকার বিচারে চূড়ান্ত বিপ্লবও উপেক্ষিত হয়, পাঠক-পাঠিকারা তাঁদের গৃহ-সংসারের ছোটখাট সুখ-দুঃখকে সে আঁকড়ে ধরে থাকতে চান, আর তাতেই তাঁরা সমধিক স্ফূর্তি অনুভব করেন। দিগন্তের অভিমুখী বহিরাবেগের থেকে কূপমণ্ডুকতাই যেন তাঁদের বেশী ভাল লাগে, আকাশে হাত বাড়ানো অপেক্ষা তাঁরা যেন গৃহাঙ্গনেই লগ্ন হয়ে থাকতে বেশী পছন্দ করেন। সাগরের উত্তাল তরঙ্গমালায় হুটোপাটি খাওয়ায় তাঁদের আনন্দ নয়, বাড়ির খিড়কি পুকুরের শান্ত স্থির জলে অবগাহন-স্নানেই তাঁদের দেহের আরাম ও প্রাণের তৃপ্তি অনুভূত হয়। শরৎচন্দ্রের শিল্পসৃষ্টিগুলির মূল্যায়ণে অগ্রসর হলে এই মন্তব্যের সার্থকতাই যেন বেশী চোখে পড়ে। শিল্পের মানদণ্ডে তাঁর বিরাজ-বৌ, পল্লীসমাজ, অরক্ষণীয়া, নিষ্কৃতি, পণ্ডিতমশাই, বৈকুণ্ঠের উইল প্রভৃতি পল্লীভিত্তিক পারিবারিক উপন্যাসগুলি যতটা উৎরে গিয়েছে, তেমন সম্ভবতঃ আর কোন উপন্যাস করতে পারেনি। তাঁর লেখা গল্পের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার দেখতে পাওয়া যায়। বিন্দুর ছেলে, রামের সুমতি, মহেশ, অভাগীর স্বর্গ, একাদশী, বৈরাগী প্রভৃতি গল্পের কোন তুলনা হয় না। অথচ সে সব রচনার বিষয়বস্তু কত তুচ্ছ, বহির্জগতে ব্যাপ্ত ভাবনা-ধারণা থেকে সেগুলো কত বিচ্ছিন্ন। যে শরৎচন্দ্র বিপ্লবের বাণীবাহক ছিলেন, সেই শরৎচন্দ্রের চেয়ে সংস্কারাবদ্ধ পারিবারিক অকিঞ্চিৎকর গার্হস্থ্য সুখদুঃখের রূপকার শরৎচন্দ্র বাঙালী পাঠক-পাঠিকার কাছে বেশি প্রিয়। এর থেকে শিল্পের নিজস্ব নিয়মনীতির বৈশিষ্ট্যটাই শুধু ধরা পড়ে। শিল্প ব্যক্তির সুখ-দুঃখ, #প্রেম- #ভালবাসা, ব্যর্থতা, নৈরাশ্য, আশার উল্লাস ইত্যাদিকেই বড় করে দেখে; ব্যক্তির ভাবজীবনকে বা তাঁর আদর্শবাদকে নয়। আদর্শবাদ মননশীলতার বস্তু, পক্ষান্তরে ব্যক্তির ব্যক্তিগত হৃদয়ের সংবাদ অনুভূতির বস্তু। শিল্পের কাছে এই শেষোক্তেরই আদর বেশী। যেহেতু শিল্প ব্যক্তিভিত্তিক, সামূহিক নয়, তাই সেটার কাছে ভাবজীবনের তেমন দাম নেই, যতটা ব্যক্তিগত প্রেমপ্রণয়-আশা-নিরাশার ছবির রয়েছে। শরৎ সাহিত্যের বেলায় এই কথাটা যত অনুভব করা যায়, তেমন সম্ভবতঃ অন্য কোন সাহিত্যের বেলায় করা যায় না। এক্ষেত্রে কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিলে বিষয়টি সমধিক পরিস্ফুট হতে পারে; এবং সেই সঙ্গে শরৎচন্দ্রের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত ধারণাগুলিরও একটা স্পষ্টতর ছবি পাওয়া যেতে পারে।
শরৎ-সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত সকলেই অবগত আছেন যে, তিনি কয়েকটি বিদ্রোহিনী নারীচরিত্রের সৃষ্টি করেছিলেন। সেগুলির মধ্যে শ্রীকান্ত দ্বিতীয় পর্বের অভয়া, তৃতীয় পর্বের সুনন্দা; চরিত্রহীন উপন্যাসের কিরণময়ী ও শেষ প্রশ্নের কমল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে অভয়া আবার সবচেয়ে বেশি বিদ্রোহিনী। তিনি শুধু কথায় বিদ্রোহিনী নন, নিজের আচরণেও বিদ্রোহিনী। অভয়া রোহিণীবাবুর সমভিব্যাহারে বর্মা মুলুকে বিবাহের পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর স্বামীর খোঁজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন যে, তাঁর স্বামী এক বর্মিনীকে বিবাহ করে কাচ্চাবাচ্চা নিয়ে দিব্যি জমিয়ে বসেছেন। অভয়ার স্বামী #মদ্যপ উচ্ছৃঙ্খল কদর্যরুচি ছিলেন। স্ত্রীর ক্ষীণতম স্মৃতিও তাঁর মনে আর জাগরূক ছিল না ৷ সেসব দেখে অভয়ার সমস্ত অন্তর বিদ্রোহ করে উঠেছিল। ইতিমধ্যে রোহিণী তাঁকে ভালবেসে ফেলেছিলেন, এবং তাঁর সেই কামনা অব্যক্ত থাকেনি। অভয়া স্বামীত্বের আলেয়ার পিছনে আর বৃথা ধাওয়া না করে রোহিণীকে নিয়েই নিজের ঘর বেঁধেছিলেন, এবং তাঁরা স্বামী-স্ত্রীরূপে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন। দাম্পত্য আদর্শের অভ্যস্ত মূল্যবোধে লালিত বাঙালী পাঠক-পাঠিকার পক্ষে এটা যে সাংঘাতিক একটা চমক, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই চমক সৃষ্টিকারী আচরণের যুক্তিও শরৎচন্দ্র অভয়ার জবানীতে জুগিয়েছিলেন। উপন্যাসে অভয়া শ্রীকান্তকে বলেছিলেন, “রোহিণীবাবুকে ত আপনি দেখে গেছেন। তাঁর ভালবাসা ত আপনার অগোচর নেই; এমন লোকের সমস্ত জীবনটাকে পঙ্গু করে দিয়ে আমি আর সতী নাম কিনতে চাইনে #শ্রীকান্তবাবু। … একটা রাত্রির বিবাহ অনুষ্ঠান যা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের কাছে স্বপ্নের মত মিথ্যা হয়ে গেছে, তাকে জোর করে সারা জীবন সত্য বলে খাড়া করে রাখবার জন্য এই এতবড় ভালবাসাটা একেবারে ব্যর্থ করে দেব? যে বিধাতা ভালবাসা দিয়েছেন তিনি কি তাতেই খুসি হবেন?” অন্যদিকে শরৎ-সৃষ্ট প্রখর বুদ্ধিশালিনী প্রদীপ্ত আগুনের শিখারূপিণী কিরণময়ী নামক চরিত্রটি যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত ভারতীয় নারীর পাতিব্রত্যের সংস্কার, আর সেই সংস্কারকে অস্বীকার করবার নির্ভীকতার অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত দ্বিধাপীড়িত নারীর একটি চমৎকার আলেখ্য বলে দেখতে পাওয়া যায়। ওই দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভার কিরণময়ীর মত সাহসিকা মননশীল নারীও শেষপর্যন্ত আর সহ্য করতে পারেন নি, তিনি পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর পাগল হওয়ার বীজ তাঁর স্বভাবের অন্তর্নিহিত কনট্র্যাডিকশনের মধ্যেই নিহিত ছিল - সেজন্য শরৎচন্দ্রকে সেই বিষয়ে কোন দোষ দেওয়া বৃথা। সেক্ষেত্রে শরৎচন্দ্র একজন বাস্তববাদী শিল্পীর মতই কিরণময়ীর স্বভাবকে অনুসরণ করে তাঁর পরিণাম যা হতে পারত, সেটাই দেখিয়েছিলেন। নিজের পীড়ণেচ্ছার দ্বারা চালিত হয়ে তিনি কিরণময়ীকে তাঁর স্খলনের জন্য সেই শাস্তি দিতে যাননি, যেটা বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে কল্পনীয় ছিল। (বিষবৃক্ষের কুন্দ আর কৃষ্ণকান্তের উইলের রোহিণীর পরিণাম স্মরণীয়।) কিন্তু কিরণময়ীর জীবন স্বীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের ভারে বিপর্যন্ত হয়ে ব্যর্থ হয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে সেটা আজও এক অবিস্মরণীয় চরিত্র। কিন্তু এমন চরিত্র শরৎচন্দ্রের কলমেও বেশী ফোটেনি। পক্ষান্তরে শরৎচন্দ্রের কমল অন্ধস্বামীভক্তির একান্ত বশংবদ দাসীসুলভ আদর্শের কঠোর সমালোচক ছিলেন। তিনি ইউরোপীয় ক্ষণবাদের পূজারী ছিলেন; ভারতীয় সনাতন আদর্শের শাসিত, মনু প্রভৃতি বিধানদাতাদের দ্বারা জোর-করে-চাপানো পাতিব্রত্যের চিরস্থায়িত্বে তাঁর আস্থা কম ছিল। তিনি স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন অপেক্ষা স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসাকে বেশী মূল্য দিতেন, এবং সেই ভালবাসা যদি স্বল্পকালীনও হয়, তাহলেও সেটার উপরেই বেশী গুরুত্ব আরোপ করতেন। প্রেমহীন দাম্পত্যের বোঝা সারাটা জীবন নিষ্প্রাণভাবে বয়ে বেড়ানোর চেয়ে প্রেমপূর্ণ দু’দিনের দাম্পত্য তাঁর কাছে সমধিক কাম্য ছিল। তাঁর প্রতি শিবনাথের ভালবাসা যখন শিথিল হয়ে গিয়েছিল, তিনি তখন পত্নীত্বের দাবীতে শিবনাথের উপরে ভার হয়ে চেপে থাকেন নি, শিবনাথকে তিনি তাঁর নিজের রুচিমাফিক পথ ও প্রবৃত্তি অনুসরণ করবার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। একদিন শিবনাথের সঙ্গে মন্ত্র সাক্ষী রেখে বিয়ে হয়েছিল বলেই সেই নজীরে গোটা জীবন তাঁর উপরে স্ত্রীত্বের অধিকার খাটাতে যাবে, এমন হৃদয়ের সম্পর্ক শূন্য সম্পত্তির বোধ কমলের ছিল না। তাঁর প্রবল আত্মমর্যাদাই তাঁকে সেই অপমানকর অবস্থা থেকে সযত্নে রক্ষা করেছিল। আবার অন্য একদিন তিনি যখন অনুভব করতে পেরেছিলেন যে, তাঁর প্রতি অজিতের ভালবাসায় কোন খাদ নেই, সেই ভালবাসা নানা কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তখন অজিতকে গ্রহণ করতে তাঁর আটকায় নি; যদিও কমল জানতেন যে, আশুবাবুর কন্যা মনোরমা এক সময়ে অজিতের বাগদত্তা ছিলেন। মনোরমা ও অজিতের মধ্যেকার ভালবাসার আকর্ষণ ফুরিয়ে গিয়েছিল বলেই কমল সেই শূন্যস্থান পূরণে আপত্তি করেন নি, নয়ত শত প্রলোভনেও তাঁকে সেই কাজে রাজী করানো যেত না।
এখানে শরৎচন্দ্র সৃষ্ট তিনটি বিদ্রোহিনী নারী চরিত্রের যে ছাঁচ আঁকা হল, সেটা থেকে মনে হতে পারে যে, শরৎচন্দ্র ভারতীয় সনাতন পাতিব্রত্য তথা একপত্নীত্বের আদর্শকে আঘাত করবার জন্যই এই চরিত্রগুলির পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সেকথা ঠিক নয়। এই সব চরিত্র তাঁর শিল্প-পরিকল্পনার মধ্যে বিচ্ছিন্ন দৃষ্টান্ত হিসাবে এসেছিল; নিজের জীবনে বহুবিচিত্র নারী-পুরুষের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন, তাঁদের থেকে বেছে এই চরিত্রগুলিকে তিনি বাংলা সাহিত্যে উপহার দিয়েছিলেন। নইলে তাঁর মনের পক্ষপাত কিন্তু বরাবরই ভারতীয় সনাতন হিন্দু একপত্নীত্বের আদর্শের দিকেই ছিল। হিন্দু দাম্পত্য আদর্শকে তিনি অত্যন্ত বড় করে - শুভদা, বিরাজবৌ, অন্নদাদিদি (শ্রীকান্ত প্রথম পর্ব), সুরবালা (চরিত্রহীন), কুসুম (পণ্ডিতমশাই), মৃণাল (গৃহদাহ) প্রভৃতি চরিত্রায়ণের সাহায্যে তুলে ধরেছিলেন। বিধবার পক্ষে প্রত্যক্ষের তো কথাই নেই, চিন্তাতেও পরপুরুষের ধ্যান করা যে অনুচিত, সেই ছবিটা তিনি তাঁর বড়দিদির মাধবী ও পল্লীসমাজের রমা চরিত্রগুলির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। মৃণাল বিধবা হওয়ার পরে তাঁর উপরেও তিনি একই বরাত চাপিয়ে দিয়েছিলেন। শরৎচন্দ্র পূর্বোক্তা লীলারাণী গঙ্গোপাধ্যায়কে একটি চিঠিতে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর বইতে একজন বিধবারও পুনর্বিবাহ ঘটাননি। কিন্তু কেন ঘটাননি, সেই কারণ তিনি অনুক্ত রেখেছিলেন। কারণটি বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন তিনি অনুভব করেননি। তবে বুদ্ধিগতভাবে তিনি যে বিধবাবিবাহের পক্ষপাতী ছিলেন, সেটার একাধিক নজির তাঁর চিঠিপত্রের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু বুদ্ধির সমর্থন আর হৃদয়ের অনুমোদন কখনোই এক হয় না। মানুষ উপরে-উপরে বুদ্ধি দিয়ে যা বিশ্বাস করে, সব সময় হৃদয় দিয়ে সেটাকে মেনে নিতে পারে না। সংস্কার সহজে মরতে চায় না। তাই কঠিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রায়ই সেটা বুদ্ধির যুক্তিকে নাকচ করে দেয়। শরৎচন্দ্রের ক্ষেত্রেও সেরকম কিছু একটা ঘটেছিল কিনা - সেটা একটা প্রশ্নচিহ্ন হয়েই থেকে গিয়েছে।
পথের দাবীর আখ্যানভাগে দেখতে পাওয়া যায় যে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার জন্য নবতারা তাঁর স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছিলেন। এরপরে কবি ও বেহালাবাদক শশীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু তারপরে হঠাৎই জানা গিয়েছিল যে, আহমেদ নামক এক মিলের টাইম-কিপার মুসলমান যুবককে বিয়ে করে তিনি শশীকে পথে বসিয়ে ছেড়েছিলেন। এই গল্পের সারমর্ম কি হতে পারে সেটা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবকাশ থাকাই স্বাভাবিক, তবে গল্পটি থেকে লেখকের মনোগত অভিপ্রায়কে বোঝার ভুল সম্ভবতঃ হওয়ার কথা নয়। এটা নবতারা নামক একটি বিশেষ মেয়ের অনুচিত স্বাধীনচারিতার প্রশ্নই শুধু নয়, ন্যায়সঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে যেকোন বিবাহিত নারীর স্বামী ত্যাগের অনৈতিকতাকেই সম্ভবতঃ এখানে ইঙ্গিতে সমালোচনা করবার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দেখতে পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, পথের দাবী উপন্যাসের আর কোথাও কিন্তু কোন মুসলমানের নামোল্লেখ পর্যন্ত নেই, কিন্তু হঠাৎই কথা নেই বার্তা নেই নবতারার কাহিনীতে ওই মেয়েটির স্বভাব-তারল্যকে ফুটিয়ে তোলবার জন্য কেন যে শরৎচন্দ্র একটি মুসলমান যুবকের আমদানী করেছিলেন, সেটা আজও সমালোচকদের কাছে মস্তবড় একটা ধাঁধা হয়ে রয়েছে। আসলে খেলাচ্ছলে অথবা কোন তুচ্ছ কারণে স্বামীকে ছেড়ে চলে আসবার চটুলতাকে শরৎচন্দ্র আদপেই সহ্য করতে প্রস্তুত ছিলেন না। অভয়ার ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তের চিত্র আঁকা সত্ত্বেও এই ব্যাপারে তাঁর মনোভাব আপসহীন ছিল বলেই মনে হয়। পতিগতপ্রাণা নারীচরিত্রগুলিকে প্রাণের সমস্ত দরদ ঢেলে আঁকার মধ্যেই তাঁর সেই মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, অন্নদাদিদিকে তিনি কী মহীয়সী করেই না এঁকেছিলেন। স্বামীর শত অত্যাচারেও অন্নদাদিদির সতীত্ব কিন্তু টোল খায়নি। বিরাজের সতীত্বকে তিনি তাঁর সাময়িক বিভ্রম সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত অস্খলিত ও নিষ্কলুষ রেখেছিলেন। #স্বামী #উপন্যাস বাল্যপ্রণয়ের অজুহাতে পরপুরুষের প্রতি আকর্ষণের আবেগকে অশ্রদ্ধেয় প্রতিপন্ন করে শেষ পর্যন্ত স্বামিত্বের আদর্শকে খুবই বড় করে দেখানো হয়েছিল। অধঃপতিত স্বামীর হাতে বহুবিধ লাঞ্ছনা-বঞ্চনা সত্ত্বেও শুভদার অপার সহিষ্ণুতা, ক্ষমা-প্রবণতা নারীজাতির পক্ষে এক মহা-অনুকরণযোগ্য গুণরূপে ওই উপন্যাসে কীর্তিত হয়েছে। শুধুমাত্র স্বামীত্বকে গৌরবান্বিত করে তোলবার জন্য সরযূ ও কুসুমের স্বামী-পরিত্যক্তা হওয়ার কষ্ট চরম করে দেখানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন বাদে জীবানন্দকে দেখবার ফলে ষোড়শীর মধ্যে লুপ্তপ্রায় স্বামীত্বের সংস্কার জেগে উঠেছিল। কিন্তু এসব বাহ্য ছিল। চরিত্রহীন উপন্যাসের সুরবালার মধ্যে শরৎচন্দ্র স্বামীত্বের গৌরবকে সবচেয়ে বড় করে দেখিয়েছিলেন। সুরবালার পতিভক্তির শক্তি ও পবিত্রতাকে তিনি এতটাই মহিমা দিয়েছিলেন যে, কিরণময়ীর মত বুদ্ধিশালিনী সনাতন শাস্ত্রশাসনের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারিণী সাহসিকা রমণী সেই চরিত্রের সংস্পর্শে এসে একেবারেই যেন চকিতে বদলে গিয়েছিলেন। কিরণময়ীর মধ্যে যে অন্তর্সংঘাত দেখানো হয়েছিল, সেটার মূলেও ওই স্বামী অন্তপ্রাণ নারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ছিল। সুরবালার স্বামীভক্তির প্রবলতা দেখে কিরণময়ী তাঁর মরণোন্মুখ স্বামীকে প্রাণভরে সেবা করতে শিখেছিলেন। তাঁর স্বামীকে যদিও বাঁচানো সম্ভব হয়নি, তবুও তখন থেকেই সেই নারীর জীবনে বুদ্ধির সঙ্গে হৃদয়ের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। কিন্তু উপন্যাসটির ট্র্যাজেডি এখানেই যে, কিরণময়ী সেই দ্বন্দ্বের কোন মীমাংসা করতে পারেন নি। ওই দ্বন্দ্বের ফলেই শেষপর্যন্ত তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটেছিল।
এই প্রবন্ধের শুরুর দিকেই বলা হয়েছে যে, শরৎচন্দ্র মূলতঃ ব্যক্তির স্বাধীনতার পক্ষপাতী ছিলেন, কিন্তু পারিবারিক ক্ষেত্রে এলেই তাঁকে অন্যরূপে দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে তিনি মূলতঃ রক্ষণশীল ছিলেন। সনাতন ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্ম ও আচার-প্রথাই যেন গার্হস্থ্য জীবনের স্তরে তাঁর সবচেয়ে বেশি মনোহরণ করেছিল। যদিও সেই সঙ্গে একথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, তাঁর রক্ষণশীলতাও তাঁর শিল্পসৃষ্টির গুণে পরম আস্বাদ্য হয়ে উঠেছে। পক্ষান্তরে বৃহত্তর সামাজিক প্রশ্নে কখনও তিনি রক্ষণশীল, তো কখনও আবার প্রগতিশীল হয়ে উঠেছিলেন। সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির সংঘাতের প্রশ্নে কখনও তিনি সমাজকে জয়ী করেছিলেন (যেমন, রমার ও সাবিত্রীর ক্ষেত্রে), তো কখনও আবার ব্যক্তিকে জয়ী করেছিলেন (যেমন, অভয়ার ক্ষেত্রে)। এই মিশ্র মানসিকতার জন্য তাঁর ব্যক্তিক স্বভাবের গঠন দায়ী ছিল, যেটার মূলে তাঁর কৌলিক সংস্কার অনেকটাই কাজ করেছিল। তাছাড়া, তাঁর বাস্তববাদও ওই ধরণের দ্বৈধতার একটি প্রধান কারণ ছিল। একজন শিল্পী হিসাবে #শরৎচন্দ্র মূলতঃ বাস্তববাদী ছিলেন। তিনি একাধিক জায়গায় বলেছিলেন যে, তিনি কোন সমাজ-সংস্কারক নন, তখনকার সমাজে সত্যি সত্যি যা ঘটেছিল, সেগুলোকে একটা রূপ দিয়েই তিনি খালাস হয়েছিলেন। সেকালের সমাজে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলোর প্রতি তিনি সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন; কিন্তু সেই সমস্যাগুলো সমাধানের ভার তিনি নেননি। অবশ্য একজন শিল্পী হিসাবে সেটা তাঁর কৃত্যও ছিল না। যেহেতু তিনি একজন শিল্পী ছিলেন, সেহেতু সমাজের প্রকৃত চেহারাটা ফুটিয়ে তুলতে পারলেই তাঁর কর্তব্য সমাধা হয়ে গিয়েছিল। তবুও এরই মধ্যে কখনও কখনও শরৎ-মানসের প্রগতিশীল ছবিটি ঝিলকিয়ে উঠেছিল। তিনি যেন কোন কোন ক্ষেত্রে সমাধান দেওয়ার কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিলেন বলেই মনে হয়। কৌলীন্য প্রথা যে একটি অত্যন্ত অশ্রদ্ধেয় ক্ষতিকর প্রতিষ্ঠান, সেটা তিনি তাঁর বড় গল্প বামুনের মেয়ে-তে বেশ ভাল করেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন। মেল-প্রবর-গাঁই-গোত্র মেলাবার ব্যর্থ চেষ্টায় উদ্যমক্ষেপ ও সময় নষ্ট না করে বর ও কন্যার স্বেচ্ছা-নির্বাচনের ঔচিত্য ও সুস্থতাকে তিনি তাঁর অরক্ষণীয়া উপন্যাসের জ্ঞানদা ও অতুলের পারস্পরিক আকর্ষণকে শেষ পর্যন্ত জয়ী করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তেমনি দত্তা উপন্যাসে বিজয়া ও নরেনের পারস্পরিক স্বাভাবিক আকর্ষণকে তিনি মর্যাদা দিয়েছিলেন, ও পরিণামে সেটাকে বিবাহের শীলমোহর দিয়ে বিলাসের সঙ্গে বিজয়ার বাগদত্তা হওয়ার কৃত্রিমতাকে অগ্রাহ্য করে পাকা করে তুলেছিলেন। আহারাদির বাছবিচার নিয়ে তাঁর অত যে খুঁতখুঁতে বাই ছিল, তাঁর গল্পোপন্যাসে ছোঁয়াছুঁয়ির প্রসঙ্গ একটা সদাবিদ্যমান ধুয়োর মত বারেবারেই ফিরে এসেছিল। তাঁর গৃহদাহ উপন্যাসের শেষটি পড়লে কিন্তু মনে হয় যে, ছোঁয়াছুঁয়ির অন্তঃসারশূন্যতাই তাঁর প্রতিবাদ্য ছিল। অন্ততঃ সেই উপন্যাসে সেটা যে প্রতিবাদ্য ছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। রামবাবু তো হিন্দুধর্মের মহিমা প্রকটনের উদ্দেশ্যেই অচলার কাছে স্বপাক আহারের উপযোগিতা, শুদ্ধাচারী হয়ে চলবার উপযোগিতা, হিন্দুর স্বধর্মনিষ্ঠায় স্থিত থাকবার সার্থকতা ইত্যাদি বিষয়ে কত গালভরা কথাই বলেছিলেন; কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি যখন জানতে পেরেছিলেন যে, না জেনে তিনি এক বিধর্মী ব্রাহ্মকন্যার হাতের পাক অন্ন গ্রহণ করেছেন, তখন তাঁর সদাশয়তার খোলসটা আর বজায় থাকেনি। সুরেশকে মৃত্যুশয্যায় শায়িত ও অচলাকে নিতান্ত অপরিচিত পরিবেশে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে রেখে তিনি তক্ষুণি প্রায়শ্চিত্তবিধানের জন্য তড়িঘড়ি কাশীতে ছুটে গিয়েছিলেন। লেখক সেখানে প্রকারান্তরে সংস্কারান্ধতার ক্রূরতাটাকেই #পাঠক-পাঠিকার চোখে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ওই কাহিনীর সমাপ্তিতে তিনি মহিমের মুখে যে ভাবনা বসিয়েছিলেন, সেটা থেকেও এই ধারণার সমর্থন পাওয়া যায়। মহিম মনে মনে ভেবেছিল - “কিন্তু এই আচারপরায়ণ ব্রাহ্মণের এই ধর্ম কোন সত্যকার ধর্ম, যাহা সামান্য একটা মেয়ের প্রতারণায় এক নিমিষে ধূলিসাৎ হইয়া গেল, যে ধর্ম অত্যাচারীর আঘাত হইতে নিজেকে এবং অপরকে রক্ষা করিতে পারে না, বরঞ্চ তাহাকেই মৃত্যু হইতে বাঁচাইতে সমস্ত শক্তি অহরহ উদ্যত রাখিতে হয়, সে কিসের ধর্ম এবং মানব-জীবনে তাহার প্রয়োজনীয়তা কোনখানে? যে ধর্ম স্নেহের মর্যাদা রাখিতে দিল না, নিঃসহায় আর্ত নারীকে মৃত্যুর মুখে ফেলিয়া যাইতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করিল না, আঘাত খাইয়া যে ধর্ম এতবড় স্নেহশীল বৃদ্ধকে এমন চঞ্চল প্রতিহিংসায় এরূপ নিষ্ঠুর করিয়া দিল, সে কিসের ধর্ম? ইহাকে যে স্বীকার করিয়াছে, সে কোন সত্য বস্তু বহন করিতেছে? যাহা #ধর্ম সে ত বর্মের মত আঘাত সহিবার জন্যই! সেই তো তার শেষ পরীক্ষা!” (শরৎ-সাহিত্য সংগ্রহ, সপ্তম সম্ভার, পৃ: ২৬২-৬৩) এটা থেকে পরিষ্কার মনে হয় যে, শরৎচন্দ্র ধর্মের নামে আচার-বিচার ছোঁয়াছুঁয়ির বাড়াবাড়িকে কখনও যথার্থভাবে সমর্থন করতে পারেননি। তিনি ধর্মের মূলবস্তুকে ধর্মের সারাৎসার বলে নির্দেশ করতে চেয়েছিলেন - সেটার আনুষ্ঠানিকতা কিংবা আচারকে নয়। কিন্তু শরৎ-সাহিত্য পূর্বাপর অনুধাবন করলে এই বিষয়ে সংশয় যেন কিছুতেই ঘুচতে চায় না। উপরের উদ্ধৃতিতে লেখকের যে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে, সেই মনোভাবের সঙ্গে তাঁর রচনা কিন্তু সর্বত্র সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলেনি বলেই দেখতে পাওয়া যায়। আহারের বাছবিচার নিয়ে তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলির অনেকগুলিরই এত বেশি মাথাব্যথা যে, সন্দেহ হয়, সেই মাথাব্যথার খানিকটা গ্রন্থকারের নিজের মাথাব্যথারই প্রক্ষেপণ ছিল কিনা! শরৎ-সাহিত্যে ব্রাহ্মণত্বের তথাকথিত মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের ভাবটিকে পরিস্ফুট করবার চেষ্টা এতটাই প্রকট, এবং সেটা নিয়ে চিত্র-চরিত্রের এত ছড়াছড়ি যে, কখনও কখনও ওই স্বাজাত্যাভিমান রীতিমত বিসদৃশতার কোঠায় গিয়ে পড়ে। ব্রাহ্মণের পৈতের প্রতি শরৎচন্দ্রের বড় মায়া ছিল - এমনতর মায়ায় বদ্ধ হয়েই তিনি একাধিক বৈপ্লবিক চরিত্রের স্রষ্টা হয়েও সমালোচকদের চূড়ান্ত বিচারে সংকীর্ণ প্রাদেশিকতা কিংবা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উঠতে পারেন নি।
ব্রাহ্ম সমাজের প্রতি তাঁর বড়ই অনীহা ছিল। কথায় বলে, যে যে ভাবে মানুষকে দেখতে চান, সে সেই ভাবেই তাঁকে চিত্রিত করেন। #ব্রাহ্ম সমাজের প্রতি বিরাগ প্রদর্শনের জন্যই তিনি যেন দত্তার রাসবিহারী চরিত্রটিকে ইচ্ছা করেই বেশি বেশি কালির পোঁচ দিয়ে কালিমালিপ্ত করে এঁকেছিলেন। গৃহদাহের কেদারবাবুর অর্থলোলুপতাকে চিত্রিত করবার পিছনেও তাঁর সেই একই উদ্দেশ্য কাজ করেছিল বলে অনেকে সন্দেহ করে থাকেন। কোন মহৎ শিল্পীর মধ্যে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণচিত্ততা কিন্তু সহজে ভাবতে পারা যায় না। রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাসের পরেশবাবুর ঔদার্যের সঙ্গে তুলনা করলেই বুঝতে পারা যাবে যে, এই চরিত্র দুটির অসম্পূর্ণতা ও অসঙ্গতি কোথায়। কুটকচালে বুদ্ধি ও অর্থলোলুপতা কোন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই #সীমাবদ্ধ নয় যে, সেই দুটি দোষ দেখাবার জন্য একটি বিশেষ সম্প্রদায়কেই বেছে নিতে হবে। ব্রাহ্ম সমাজের নেতারা হিন্দু সমাজের প্রচলিত গণ্ডী ত্যাগ করে বাইরে বেরিয়ে এসে ধর্মসংস্কার করতে চেয়েছিলেন বলে শরৎচন্দ্র কোন সময়েই তাঁদের ক্ষমা করতে পারেননি। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে একবারও তাঁর এই কথাটা খেয়াল হয়নি যে, #ঊনবিংশ শতাব্দীর বঙ্গদেশে শিক্ষায়, সমাজ সংস্কারে, রাজনৈতিক চেতনার জাগরণে, সাহিত্যে, স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে, একাধিক কুপ্রথার (যথা - বাল্যবিবাহ, নারীনিগ্রহ, সুরাপান ইত্যাদি) মূলোচ্ছেদ করবার চেষ্টায় ওই ব্রাহ্ম সমাজই সবচেয়ে অগ্রণীর ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বাংলার মানুষের গর্বের কোন শেষ নেই, তিনিও ব্রাহ্ম সমাজভুক্ত মানুষ ছিলেন। যদিও একথা বলাই বাহুল্য যে, কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মসম্প্রদায়ের ছাপ দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মত বড় মনের একজন মানুষকে চিহ্নিত করতে যাওয়ার চেষ্টা বৃথা। শরৎচন্দ্র অনেক জায়গায় ঘুরে অনেক মানুষের সঙ্গ ও অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবার পরেও কেমন করে অমন অনুদার থেকে যেতে পেরেছিলেন - সেটা অবশ্যই একটি স্থায়ী প্রশ্ন। যাই হোক, এই সব ত্রুটি-বিচ্যুতি অসম্পূর্ণতা অসঙ্গতির প্রশ্ন বাদ দিলে শরৎচন্দ্র সত্যিই কিন্তু এক অসামান্য #শিল্পী। তাঁর দরদের কোন তুলনা হয় না। তাঁর ভাষা ও ভঙ্গি চেখে চেখে ভোগ করবার মত এক পরম স্বাদু বস্তু। পল্লীভিত্তিক উপন্যাস-গল্প রচনাতেই তাঁর সৃষ্টির শিল্পোৎকর্ষ সবচেয়ে বেশী প্রকাশ পেয়েছিল, কিন্তু তাঁর ভাষাটি পুরোপুরি নাগরিক মেজাজের ছিল। তাঁর সম্পর্কে হতবুদ্ধি হয়ে লক্ষ্য করবার মত একটা অদ্ভুত ব্যাপার হল যে, যে-গোঁড়ামি ও সংরক্ষণকামিতার জন্য সমালোচকরা বারে বারে তাঁর সমালোচনা করেছেন, সেই গোঁড়ামি ও সংরক্ষণশীলতার আধারে রচিত তাঁর পারিবারিক গল্প-উপন্যাসগুলিতেই কিন্তু তাঁর শ্রেষ্ঠ শিল্পোৎকর্ষ ব্যঞ্জিত হয়েছে বলে দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে তাঁর মননশীল বইগুলি কিন্তু পাঠক-পাঠিকা চিত্তের উপরে তেমনভাবে দাগ কাটতে পারেনি। তাঁর পথের দাবী উপন্যাসটিকে সেই ব্যর্থতার একটি নিদর্শন হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে। সমালোচক নারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্যে, “উপন্যাসটির আরম্ভ হয়েছিল অতি চমৎকারভাবে, সেই যেখানে সব্যসাচী গেঁজেল গিরিশ মহাপাত্র রূপে রেঙ্গুনের জেটিতে আত্মপ্রকাশ করছে ও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সটকে পড়ছে, সেই অংশটির কোন তুলনা নেই। কিন্তু তার পরেই যেন বইটি কেমন মিইয়ে গেছে। রাষ্ট্র-বিপ্লব সম্পর্কে সব্যসাচীর গালভরা বুলিগুলিও পড়তে ভালই লাগে, কিন্তু ভারতীর সঙ্গে বসে বসে অন্তহীন কথার কচকচি এক এক সময়ে রীতিমত বিরক্তিকর ঠেকে। সব্যসাচীকে যদি একজন দরদী মানবতাবাদী চরিত্র রূপে আঁকাই লেখকের উদ্দেশ্য ছিল, তাহলে সূচনায় এমন কঠিন বিপ্লবের গৌড়-চন্দ্রিকা ফাঁদা হয়েছিল কেন? বইটা একেবারেই মাঠে মারা গেছে অপূর্ব-ভারতী জুটির তুচ্ছ আকর্ষণ-বিকর্ষণের পালার বর্ণনায় পাতার পর পাতা ভরাতে গিয়ে। … তবু সব্যসাচীর কথাগুলির দাম আছে। এই থেকে শরৎচন্দ্রের রাষ্ট্রিক চিন্তার কাঠামোর একটা আভাস পাওয়া যায়। এই উপন্যাসের বক্তব্য ও অন্যান্য রচনাংশ থেকে মনে হয়, শরৎচন্দ্র অহিংসা তত্ত্বের বিশেষ অনুরাগী ছিলেন না, দেশের স্বাধীনতা ও তৎপরবর্তী সমাজ বিপ্লব সাধনের জন্য সশস্ত্র পন্থার কার্যকারিতাতেই তাঁর সমধিক বিশ্বাস ছিল। তবে তাঁর চোখে রক্তারক্তিটাই বিপ্লব নয়, বিপ্লব মানে একটা ‘দ্রুত আমূল পরিবর্তন’ (সব্যসাচী)। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করলে দেখা যায়, তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক উপন্যাসগুলির দৃষ্টিভঙ্গির আদৌ কোন মিল নেই। শরৎচন্দ্রের পারিবারিক উপন্যাসগুলির পটভূমিকায় পথের দাবী বা এই জাতীয় রচনা যেন একটা বিচ্ছিন্ন শিল্পকর্ম রূপে আলাদা হয়ে ঝুলে আছে। শরৎচন্দ্র মূলতঃ সামন্ততান্ত্রিক ভূমিব্যবস্থায় লালিত ছায়াচ্ছন্ন পল্লীর গার্হস্থ্য জীবনের শিল্পী, তাঁর শিল্পের পরিকল্পনার মধ্যে একটা পথের দাবী কিংবা একটা শেষ প্রশ্ন উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। এই দুই ধরনের রচনা কর্মের মধ্যে না আছে মেজাজের মিল, না চিত্তা-কল্পনার সামঞ্জস্য। একের বক্তব্য অন্যে খারিজ হয়ে যাচ্ছে। নিষ্কৃতি-পল্লীসমাজ-পণ্ডিতমশাই-অরক্ষণীয়ার লেখকের সঙ্গে পথের দাবী-শেষ প্রশ্নের লেখককে ঠিক কেমন যেন মেলানো যায় না।”
(তথ্যসহায়ক গ্রন্থাবলী:
১- শরৎ-সাহিত্য সংগ্রহ।
২- শরৎচন্দ্র সমালোচনা সাহিত্য, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত।
৩- শরৎ-সাহিত্যের মূলতত্ত্ব, বিশু মুখোপাধ্যায়।
৪- শরৎচন্দ্রের চিঠিপত্র, গোপালচন্দ্র রায়।
৫- শরৎচন্দ্র, গোপালচন্দ্র রায়।
৬- কথা সাহিত্য, নারায়ণ চৌধুরী।)
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

বিবর্তন......।
গত শতকের নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত তোপখানা রোডের মাথায় প্রেসক্লাবের ঠিক বিপরীতে কিছু যাদুকর বসতেন। তাঁরা #টাইপ করতেন টাইপরাইটারে। পেশাটি #বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
থিন পেপার, রিবন, কার্বন পেপার শব্দগুলো #স্মৃতি জাগানিয়া, ঠিক ততোটাই যতটা জাগায় রেমিংটন #টাইপরাইটার।
১৯৮০ সালে ছবিটি তুলেছিলেন টম লিয়ার।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

#আমেরিকা কেন বাংলাদেশে #গণতন্ত্র চায়?
২০০১ সালে ১/১১ এর পরে তৎকালীন ইউএস #প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ #বুশ #মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একপ্রকার ক্রুসেড ঘোষণা করেন।
যদিও হামলায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন সৌদি আরবের , বাকি ২ জন ইয়েমেনের #নাগরিক।
অনেকে এও বলে থাকেন #সৌদি থেকেই এর অর্থায়ন হয়েছে। যেহেতু সৌদ রাজপরিবার বহুদিন ধরেই ওয়াহাবি -সালাফি দের সাহায্য করে আসছেন।
দক্ষিণ #এশিয়া
#ইরাক, আফগানিস্তানের কথা ইতোমধ্যে জানেন। তাই আর বলছি না।
যাই হোক, সারা #বিশ্ব জুড়ে ইসলামী দলগুলো কে নিশ্চিহ্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এখন পুরো বিশ্ব কে সে একলা তান্ডব চালাতে পারবে না।
এর জন্য #মিত্র দরকার।
দক্ষিণ এশিয়ায় এই তালুকদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় মালাউস্তান কে ।
যদিও মালাউস্তানের সাথে পশ্চিমাদের সম্পর্ক অতীতে অম্লমধুর ছিল।
কিন্তু #ইসলাম কোপানোর সাথে তাদের সাথে নেয় ।
বাংলাদেশে মালাউস্তানের জায়গীরদারি
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ বিষয়ে মালাউস্তান /হাগুস্তানের সিদ্ধান্ত কে চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় ।
অর্থাৎ #পশ্চিমা রা মালাউস্তানের স্বার্থকে বিবেচনা নিয়েই বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের পদক্ষেপ নিবে ।
#বিএনপি জামায়াতের ধূলিসাৎ করার ষড়যন্ত্র
জিয়া পরিবারের সাথে মালাউস্তানের সম্পর্ক শুরু থেকেই খারাপ ছিল।
সাথে #জামায়াত। যেহেতু জামায়াত ইসলামপন্থী ও কট্টর ভারত বিরোধী এবং পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক চায়।
তাই মালাউস্তানিরা তাদের নিশ্চিহ্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো র উপর আইএসআই এর প্রভাব বেড়ে যায় ,এটা সত্যি কথা।
নিশ্চিহ্ন করার পদক্ষেপ
জঙ্গি জঙ্গি খেলা, #রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের #চেতনা এইসব বোগাস কাল্পনিক কিছু জিনিস সামনে নিয়ে আসে।
যদিও অদ্যবধি, নবী রাসুল দের যুদ্ধ ব্যতীত খুব অল্প যুদ্ধ ই পাওয়া গেছে। যেখানে ধর্ষণ, গনহত্যা হয় নি।
এদিক দিয়ে #খ্রিষ্টান সোভিয়েত রা জার্মান দের, বৌদ্ধ জাপান চীনাদের, কিংবা হিন্দু মারাঠারা হিন্দু বাঙালি দের ছাড় দেয় নি।
যার যে সময় শক্তি ছিল সে অন্যদের শোষন করেছে। কিন্তু দুনিয়ার সব দোষ চাপানো হয় পাকদের উপর।
৩ লক্ষ কে ৩০ লক্ষ বানিয়ে ভারত থেকে আজব কাহিনী বাজারে ছাড়া হয়। সবগুলো র ভিলেন আবার কোন মাওলানা অথবা পীর ।
বিএনপির ভুল সিদ্ধান্ত
বিএনপি শুরুতে জামায়াত কিংবা ইসলামী স্ট দের রক্ষা করার পদক্ষেপ নেয় নি।
এর কারণ হতে পারে #তারেক রহমান ও #খালেদা #জিয়া কে নিস্ক্রিয় করে ফেলা।
র এজেন্ট দের ফাঁদে পড়া। কিংবা বিএনপি তে বামেদের ডুকে পড়া
ড. কামালের #ফাঁদ
২০১৮ সালে নির্বাচনে ভারত ও আওয়ামী লীগ কাজে লাগায় এক বাটপার কামাল কে । এবং বাঙ্গু পোগতিশীল ড। জাফরুল্লাহ চৌধুরী কে ।
যদিও জাফরুল্লাহ মানুষ হিসেবে খারাপ না । কিন্তু #ইসলামী স্ট দের প্রতি তার বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি অজানা নয়।
বিএনপি কে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাদের ৭০-৮০ টা আসন দেওয়া হবে। ২০২৩-২৪ সালে শেখ হাসিনা নির্বাচন করবেন না।
বিএনপি ফাঁদে পড়ে যায়।
#শেখ #মুজিব ভারত থেকে ফেরার সময় পকেটে করে এক সংবিধান নিয়ে আসেন।
সেটা কে ঘষামাজা করে নিজের নামে চালান কামাল।
তার যোগ্যতা বলতে ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুরের ছেড়ে দেওয়া আসনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জিতা।
নিজের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এক ইহুদী র কাছে ।
#চীন #রাশিয়া, এরদোয়ান ও ইরানের উত্থান ও আমেরিকার টনক নড়া
যার শুরু আছে, তার শেষ ও আছে।
আফ্রিকান মাগুর ওবামা প্রশাসন দেশে দেশে আরব বসন্ত নামে গনতন্ত্রপন্হীদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে ।
এর মূল উদ্দেশ্য ছিল নতুন বোতলে পুরাতন মদ ঢেলে আবার পরিবেশন করা।
কিন্ত সবসময় ত এক দ্বান্ধামি কাজে লাগে না।
সেই পরিকল্পনায় পানি ঢেলে এক ব্রিলিয়ান্ট মিলিটারি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানী।
এককথায় #ইয়েমেন , সিরিয়া ও লেবানন থেকে পশ্চিমাদের বিতাড়িত করতে ভূমিকা পালন করেন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও আমেরিকার টনক নড়া
অবশেষে ২২ ফেব্রুয়ারি ,২০২২ সালে #রাশিয়া #ইউক্রেন আক্রমণ করে।
আমেরিকা এবার ও মনে করেছিল সেই পুরনো ট্যাগ ও ডায়লগ দিয়ে সবাইকে এক কাতারে আনবে ।
কিন্তু এসবের কিছুই ঘটে নি। মুসলিম বিশ্ব, আফ্রিকা, ল্যাটিন #আমেরিকা কেউ না।
না রাশিয়া কে ফাঁদে ফেলে কুপোকাত করা যায় নি। বরং ইউরোপ কুপোকাত হচ্ছে।
তাই এবার সে তার অনেক পুরনো ভুল সংশোধন করছে ।
দক্ষিণ এশিয়ায় #ওয়ার #অন টেররের সমাপ্তি
অবশেষে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসন তালিবদের সাথে চুক্তি করে ওয়ার অন টেররের #সমাপ্তি টানেন হয় , যার আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন হয় ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা




৯/১১ এর যে প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়ত কখনও খুজে পাওয়া যাবেনা
১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ৯/১১ এর #সন্ত্রাসী হামলার ১১ তম বার্ষিকী। এ দিনে ২ হাজার ৭৫১ জন মারা যায় এই ঘটনায়। দায়ী করা হয় "আল কায়েদা"কে।সেই থেকে সন্ত্রাসী সংগঠনকে নির্মূল করার অভিপ্রায়ে আজ দুটি স্বাধীন মুসলিম দেশ #আফগানিস্তান ও ইরাক ধংশপ্রায় , পিছিয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ১০০ বছর। লক্ষ লক্ষ নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে উদ্বাস্তু বানানো হয়েছে। কালিমা লেপন করা হয়েছে মুসলমানদের উপর !!! বিশ্বব্যাপী ইসলামকে "সন্ত্রাসী ধর্ম" " #জঙ্গি বাদী ধর্ম" হিসেবে পরিচিত করা হয়।। কিন্তু ভিতরের সত্য কি, কেউ কি কোনদিন জানতে পারবে?? নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানা দরকারঃ
যে চারটি #প্লেন #হাইজাক হয়েছিল সেগুলোর Black Box কোথায়? ১৭ জন হাইজাকারের মধ্যে ৭ জন এখনো জীবিত কেনো? ৯/১১ এ সালমান রুশদীর ফ্লাইট কেনো স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাতিল করে? তাহলে কি তারা আগের থেকেই জানত এমন হতে যাচ্ছে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো অমিমাংশিত বা বলতে পারেন US. Govt. এগুলোর সমাধান দিতে পারে নাই। আমার আপনার মতো সাধারন মানুষ যদি এ প্রশ্নগুলো করতো তাহলে জনগন থোরাই কেয়ার করত, কিন্তু সমস্যা হলো রবার্ট ফিস্ক, গ্রিফিন ট্রাপলে - ডেভিড রে গ্রিফিন এর মতো অসাধারন প্রতিভাবান journalist- মনে করেন ৯/১১ আমেরিকার উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তাদের করা inside job. এমন আরো কতোগুলো অমিমাংসিত প্রশ্ন গুলো নীচে দেয়া হলো:
পেন্টাগন:
পেন্টাগনের যে অংশে প্লেন হিট করেছে তার কোনো ভিডিও নেই কেনো ? অথচ ঐ মুহুর্তে সেই অংশে ৫টি ভিডিও #ক্যামেরা ছিল?
পেন্টাগনে হিট করার কোনো বোয়িং এর ছবি নেই কেনো?
বুশ এবং War on Terror:
৩) বুশকে যখন প্রথম কানে কানে খবর দেয়া হয়েছিল (যেটার ভিডিও হয়ত আপনারা দেখে থাকবেন) তখন বুশের ভাষ্য অনুযায়ী তাকে বলা হয়েছিল America Under Attack. অথচ যারা Leap Reader Expert তারা বলেছিল এধরনের কোনো কথা তার কানে বলা হয়নি। তাহলে কি বলা হয়েছিল?
৪) #বুশ এটাকের সংবাদ পাবার পরে কিভাবে স্কুল ভিজিট চালিয়ে গেলো? এবং এরপরে কিভাবে তার হাস্যরত ছবির পোজ দিয়েছিলো?
হাইজাকার এনালিসিস:
৫) ১৭ জন হাইজাকারের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৭ জন এখনো জীবিত আছে বলা যায়, যারা বিভিন্ন দেশ থেকে দাবী জানিয়েছে? এ সম্বন্ধে US Govt. নীরব কেনো বা কোনো উত্তর দেয় না কেনো?
৬) বলা হয়, মোহাম্মদ আতা ছিল পাইলট এবং সে-ই বোয়িং ৭৫৭ চালিয়ে World Trade Center আঘাত করে। এরকম কোনো প্রুফ আছে কি যে মোহাম্মদ আতা efficient pilot? তদন্তে যেটা পাওয়া গেছে, যে aviation company থেকে আতা ট্রেইনিং নিয়েছে সেটা False. তাহলে একজন অদক্ষ পাইলটের পক্ষে কি সম্ভব এমন নিখুতভাবে World Trade Center হিট করা?
৭) ১৭ জন মুসলমান ৩টা এয়ারপোর্ট থেকে প্লেন হাইজাক করে নিয়ে যায় ... এখন প্রশ্ন হলো ২০০-৩০০ জন যাত্রীর মধ্যে ঠিক ১৭ জন হাইজাকার ছিল এই #নেটওয়ার্ক কিভাবে বের করা হলো?
৮) ১৭ জন হাইজাকারের মধ্যে মোহাম্মদ আতা টিম লিডার এটা কিভাবে বের করা হলো?
৯) মোহাম্মদ আতার এয়ারপোর্টের #ভিডিও তে সি,সি ক্যামেরার যে ছবি পাওয়া যায় সেটা মুভিং #ভিডিও কেনো? সি,সি ক্যামেরার ভিডিও কি দর্শকের পিছু পিছু মুভ করে?
১০) হাইজাকার সকলেই Credit Card এর মাধ্যমে টিকিট পারচেজ করেছে। এটার কোনো প্রুফ আছে কি? এই ১৭ জনের এমন কোনো প্রুফ নেই কেনো যে তারা #টিকিট পারচেজ করেছে?
১১) কেউ কোনো প্লেনে ফ্লাই করলে বোর্ডিং লিস্টে তাদের নাম থাকে। যে ১৭ জন হাইজাকার ছিল তাদের বোর্ডিং লিস্ট নেই কেনো?
বোয়িং এবং ফ্লাইট এনালিসিস:
১২) #প্লেনে হাইজাক হবার পরে যারা যাত্রি ছিল , বলা হয় তাদের কেউ কেউ মোবাইল ফোনে তাদের আত্নিয় স্বজন দের সাথে কথা বলেছে। পরবর্তিতে তদন্ত করে দেখা গেছে সেই সব কলের কোনো বিল চার্জ করা হয় নাই। কেনো?
১৩) ৪টি প্লেনের ব্লাক বক্স কোথায়? কিছু কিছু উদ্ধার কর্মি বলেছে এগুলো FBI seize করেছে, তাহলে সেগুলো কেনো #পাবলিশ করা হলো না।
১৪) #আমেরিকান #ফ্লাইট কন্ট্রোল করে FFA, আর কোনো সমস্যা হলে সেটা হ্যন্ডেল করে NORAD। Flight 77 আকাশে ওড়ার পর 8:46 - ডিরেকশন change করল অথচ FFA, NORAD কে জানালো 9:24 মিনিটে। এখন প্রশ্ন হলো ৩৮ মিনিট FFA-র বুঝতেই লাগলো শুধুমাত্র notification পাঠানোর জন্য? এটার জন্য কারা দায়ী? সেই সব অফিসারদের বিরুদ্বে কোনো case হয়েছে কি?
১৫) #প্লেন হিট করেছে WTC1 এবং WTC2 কে। WTC7 তার থেকে অনেক দুরে অবস্হান করা সত্বেও সেটা ভেংগে পড়ল কিভাবে?
১৬) আসলে কি কোনো বোয়িং হিট করেছিল? তাহলে ক্লোজ ক্যামেরার সাহায্যে যে বিমান গুলো দেখা যায় সেটা US Air Force plane এর মতো দেখা যায় কেনো?
১৭) বোয়িং ৭৫৭ WTC হিট করার পর এত তারাতারি ভেংগে পড়ে কিভাবে? যারা WTC আর্কিটেক্ট তারা বলেছে এই বিল্ডিং গুলো বোয়িং প্রুফ ছিল অর্থ্যাত ৮৬ হাজার গ্যালন তেলে যে তাপ উতপন্ন হয় সেটাতে স্টিল গলার কথা নয়, এমনকি এত তারাতাড়ি কোনো মতেই সম্ভব নয়। তদুপুরি আশেপাশে সেই মুহুর্তে যারা ছিল তারা ডিনামাইট বিস্ফোরনের শব্দ শুনেছে। তাহলে কি Control Demolition?
১৮) #উদ্বার কাজে কারা ছিল? যে ধংশস্তুপ ছড়িয়ে ছিল সেটা উদ্ধার কার্যে যারা ছিল তাদের কেনো O গ্রাউন্ডে স্বাধিনভাবে কাজ করতে দেয়া হয়নি।
হাজার হাজার #ইহুদি সেখানে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও সেদিন কেন কেউ কাজে যোগ দেয় নি? কেন একজন ইহুদি ও মারা যায় নি?
অন্য কেউ কি জড়িত ছিল? কোনো প্রমান?:
১৯) Flight 175, Flight 11 যেদুটো প্লেন টুইন টাওয়ারে হামলা করে সেটার এয়ারপোর্টের দায়িত্বে ছিল ICTS নামক Jews company। এবং এই কম্পানির দায়িত্বে ছিল Ezra Harel নামক ব্যক্তি যে Mossad এর একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। সবই coincidence?
২০) #ইসরাইলি কম্পানি odigo কিভাবে WTC attack এর ২ ঘন্টা আগে জানতে পারলো ..
সন্দেহের তীর মোসাদের দিকেঃ
সম্প্রতি ?আমেরিকার ফ্রি প্রেস উইকলি'-তে প্রকাশিত এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৯/১১-এ নিউ ইয়ার্ক বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে #হামলা চালিয়েছে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। এ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ৯/১১-এর বিমান হাইজ্যাকার হিসেবে অভিযুক্ত জিয়াদ আল-জাররার কাজিন দীর্ঘদিন ধরে মোসাদ-এর এজেন্ট হিসেবে আমেরিকায় তৎপর ছিলেন। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, মার্কিন ভূমিতে বিমান হামলায় ইসরাইলী #গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত।
#নিউইয়র্ক টাইমস, সম্প্রতি অপর এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, লেবাননী, নাগরিক আলী আল জাররা দৃশ্যত ফিলিস্তিনীদের সমর্থক হিসেবে বিগত দু'দশক ধরে মোসাদের পক্ষে উঁচুমানের গোয়েন্দা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফার্নেসকো কোসিগা বলেছেন, ৯/১১-এর ঘটনা সিআইএ মোসাদ-এর গোপন পরিকল্পনার যৌথ প্রযোজনার ফসল। মার্কিন ও ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভালোভাবেই অবহিত যে, ৯/১১ এর বিমান হামলা ঘটিয়েছে মার্কিন সিআইএ ও ইসরাইলী মোসাদ।
৯/১১ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত:
২১) ৯/১১ নিয়ে যে সকল সাংবাদিক তদন্ত করতে চায় তাদের কেনো U.S Govt. স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয় না। কেনো Cristofer bollyn ৯/১১ নিয়ে কাজ করতে যেয়ে হুমকির সম্মুখিন হয়েছে?
২২) ৯/১১ commision report বের হবার আগে কেনো আফগানিস্হান আক্রমন করা হলো। তদন্তের রিপোর্ট বের হবার আগে কি একশনে যাওয়া যায়?
২৩) যে সব কম্পানি উদ্ধার কার্যে (Engine 331) ছিল তারা কেনো এখন কোনো তদন্ত টিমকে interview দেয় না (Referencethepowerhour.com) তারা কি লুকাতে চায়?
মালেশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী #মাহাথির #মোহাম্মদ এর কয়েকটি কথাঃ
বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক, ভিডিও এর এক সেকেন্ড কে হাজার ভাগ করে দেখিয়ে দিয়েছেন, বিমান দালানে আঘাত করার আগেই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেটা কিভাবে সম্ভব হলো? এ দুই দালান আশেপাশে হেলে বা কাত হয়ে পড়ার বদলে ভেঙ্গে নিচের দিকে ডেবে গেছে। বিমানের আঘাতে এ ভবন দু'টি ধসে পড়েছে বলে মনে হয়নি বরং মনে হয়েছে, নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরকের সাহায্যে #পরিকল্পিতভাবে ভবন দু'টি ধসিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওই এলাকায় তৃতীয় আরেকটি ভবনও একইভাবে ধ্বসে পড়েছে, কিন্তু ওই ভবনে কোনো বিমান আঘাত হানেনি। আশেপাশের ভবনগুলোর কোনো রকম ক্ষতি ছাড়া কী করে তৃতীয় ওই ভবনটি ধ্বসে পড়লো।।
#বিমান আঘাত করলে, সেখানে বিমানের বা যাত্রীদের কোন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় নি কেন?? বিধ্বস্ত হওয়ার পর একটি বিমান কি শূন্যে মিলিয়ে যেতে পারে?
উপসংহার:
অনেকে হয়ত বলতে পারেন মাস মিডিয়ায় কেনো এসব আসে না? এটাও একটা প্রশ্ন যেটার উত্তর আপনি সহজে পাবেন না। আসলে করপোরেট গ্রুপ যাদের গ্রেটার ইন্টারেস্ট- এ এবিষয়টি জড়িত ছিল তারা কখনও চায় না সবাই আসল ব্যাপারটা জানুক। আর মাস মিডিয়া CNN, Fox News, New york Times এগুলোতে না পেলেও অসংখ্য গবেষনামুলক লেখা, বই, নেট এ প্রচুর রেফারেন্স পাবেন যেটা আসলে কি হয়েছিল তা জানার জন্য যথেষ্ঠ। তবে একটা কথাই বলা যায়, সাম্রাজ্যবাদীদের এক সফল প্রহসন নাটক মঞ্চস্থ হয়ে ছিল সেদিন।
(একটি সংগৃহীত ও সংকলিত লেখা)
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা


ষাটের দশক। #আহমদ #ছফা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সময় এক ধরণের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছিল ঢাকায়। পুরান ঢাকার এক হিন্দু বাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য এক বন্ধুর সাথে সেই বাড়িতে গিয়েছিল ছফা। তার বন্ধুর আত্মীয়ের বাড়ি ছিল সেটা। সারারাত জেগে ছিলেন বাড়িটাতে।
সেই বাড়িতে ছিল পুরানো ধুলোয় জমা এক বুকশেলফ। সেখান থেকে বেছে একটা বই হাতে নিয়ে পড়া শুরু করেছিলেন ছফা। ছেড়া বই। কাভার নেই। বইটার নামটাও ছিল না কোথাও। তারপরও অদ্ভুত এক মুগ্ধতা নিয়ে পড়তে থাকেন বইটা।
এরই মধ্যে রাত্রী শেষে ভোর হয়। বইটাও পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারেনি ছফা। বন্ধুর সাথে আবারও ফিরে আসেন হলে। কিন্তু মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে সেই বইয়ের লাইন-
"All theory, dear friend, is grey, but the golden tree of actual life springs ever green. "
কয়েকটা দিন যায় এভাবে। নাহ! বইটা মাথা থেকে যাচ্ছেই না। বইটা পুরোটা পড়ে শেষ করতেই হবে। কিন্তু ছফা তো নাম জানে না বইটার। কোথায় পাবে আর সেই বই?
#ছফা দ্বারস্থ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইংরেজির অধ্যাপকের। ভীষণ রাগী ছিলেন সেই শিক্ষক। ধুকপুক বুকে সাহস সঞ্চয় করে অধ্যাপকের সামনে গিয়ে বলেন, " স্যার কয়েকদিন আগে আমি একটা বই পড়েছি, পুরোটা শেষ করতে পারিনি। বইটাও নেই আমার কাছে। বইটার নামও জানি না। কে লিখেছেন তাও জানি না। কিন্তু বইটা আমি পড়তে চাই। বইটাতে একটা লাইন আছে এমন, 'all theory is grey...' ছেড়া বই হওয়ায় নাম লেখা ছিল না বইটাতে। তবে হ্যাঁ, ফোলিও লাইনে লেখা ছিল ফাউস্ট।"
একথা শুনে অধ্যাপক সাহেব রক্তচক্ষু করে ছফার দিকে তাকায়। বলেন, "আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে জার্মান কবি গ্যোটেকে চিনো না। ফাউস্ট গ্যোটের বিখ্যাত মহাকাব্য।"
ছফার এক প্রবন্ধে এই ঘটনা পড়ার সময় ঠিক এই জায়গায় এসে শিউরে উঠেছিলাম আমি। #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জার্মান কবি গ্যোটেকে চেনে না, এটা মেনে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আর আজ? কে-ই বা কাকে চেনে, কাকেই বা পড়ে!
পরের গল্পটা তো সবারই জানা। গ্যোটের প্রেমে পড়ে ছফা বেশ কয়েকবার গেছেন গ্যোটের শহরে। জার্মানিতে ছিলেন অনেকদিন। অনুবাদও করেছেন ফাউস্ট।
সেদিন ফেসবুকে দেখলাম। জার্মানির ভেৎসলার শহরের মহাকবি গ্যোটের স্মৃতিবিজড়িত কিয়স্কটি(পানশালা) আহমদ ছফার নামে নামকরণ করা হয়েছে। খবরটা পড়ে ভীষণ আনন্দ হয়েছে আমার।
৩০ জুন ছিল ছফার জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন মৌলবী সাব।
লেখা কৃতজ্ঞতা - আঞ্জুমান লায়লা নওশিন
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
প্রমথ চৌধুরী বলে ছিলেন,
"বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে"....
চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে ব্যপারটা
আসলেই চিন্তা করার মত।
সত্য বলতে কি বাংলা ভাষার সাথে চট্টগ্রামের ভাষার ৭০ ভাগই নূন্যতম মিল নেই!!
যেমন টা ধরেন:
মুরগী কে চট্টগ্রামের ভাষায় বলে "কুরো"...
মোরগ কে বলে " লাতা কুরো"..
শালিক পাকি কে বলে "দেচ্ছো"..
তেলাপোকা কে বলে "তেইল্লেচুরা"
কাক কে " হাউওয়ো"
টয়লেট কে "টাট্টি"
খারাপ মানুষ কে " জারগো"
মাউলানা কে " মুলিছাফ"
পেয়ারা কে "গুয়াছি"
শিমের বিচি কে "হাইস্যে"
সমুদ্র কে "দইজ্জে"
কলসি কে "ঠিল্লে"
হঠাৎ কে "আতিক্কে"
পিচ্ছিল কে "বিরবিজ্জে"
ইত্যাদি ইত্যাদি...।
আর চট্টগ্রামের ভাষায় এমন কিছু এপিক
এক্সপ্রেশন আছে যা শুধু বাংলা কেন! পৃথিবীর
কোন ভাষায় অনুবাদ করা যাবেনা।
যেমন ধরুন :
অবাইজ্জেহুদা!!
আত্তামারেবাপ!!!
মাইল্লেপিরে!!!
অবাজিরে!!
উম্মারেম্মা।
এরকম আরো শত শত এক্সপ্রেশন।
তাছাড়া চটগ্রামের #প্রবাদ গুলোও
পুরোপুরি ভিন্ন। যেমন:-
★ফুয়াদেল্লাই ছাড়িত ন পারির,
কেঁডারলাই গিলিত ন পারির।
বাংলা অনুবাদ : স্বাদের জন্য
ছাড়তে পারছি না, কাঁটার জন্য
গিলতে পারছি না।
"পুঁদত নাই তেনা মিডে দি ভাত হানা"
অনুবাদ : গায়ে নেই জামা মিঠায় দিয়ে ভাত খাওয়া।
যা কোনো ভাষায় অনুবাদ করা যায় না
"চেরেত গরি পরি গেইয়ে"
চিটাইংগে ছোটবেলার খেলা
"ইচকিম ইচকিম হাইমর দাঁরা
হাইম গেইয়ে রাজার বারা
রাজার বউয়ের বাইট্টে চুল
টাইনতে টাইনতে লাম্বা চুল
লাম্বা চুলেত্তলে
দুওয়ো বাত্তি জ্বলে
সোনার আত হাডি দিলাম
কেঁচেঁত"
আরো আছে
বাংলাদেশের জাতীয় খেলার চিটাইংগে ভার্ষন
১/"হা ডু ডু লক্কন
তুরে মাইত্তে হতক্কন"।
২/"তুব্বোইন শরত
টিব্বাত্তি বরত"।
★★★মানুষ এই ভাষা কে কঠিন,কুৎসিত, যে
যাই বলুক না কেন🙊
এটাই আমাদের মায়ের ভাষা। এ ভাষা শিখাতে সবাই পাড়ে না। যুগের পর যুগ মানুষ "এ ভাষা" চট্টগ্রামে থেকেও আয়ত্ত করতে পারেনা।
এ ভাষা জন্ম থেকে আয়ত্ত করতে হয়।।
#বেঁচে_থাকুক_চাটগাঁইয়া_ভাষা_অনন্ত_কাল।
"দরহার অইলে এই ভাষারে বাচাইবাল্লাই আঁরা আবার ভাষা আন্দোলন গইজ্জুম"।
" চিটাইংগে মরতপুয়া/মাইয়েপুয়া অক্কল আঁরাতো আঁরাই😃✌
আঁরাই সেরা"।
@bengali_convo
@masindia
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
So totally different in the morning, daytime. With the weather - hot, humid (88, feels like 97 ⁰F; 31 feels like 36 ⁰C) at 10:45 am - #Kobe #Sannomiya totally feels like #Kolkata and yet totally different.
If #SFF #cyberpunk settings can be inspired by #Japan , they can totally be other S and SE Asian places too (and increasingly are, nice to see)
“আমার রাজনৈতিক সমর্থনের কথা ব্যক্ত করি। আমি আওয়ামী লীগকে ভয় করি এবং বিএনপিকে পছন্দ করি না। এরশাদকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। জামায়াতের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। আমি একা নই, আমাদের দেশের অনেক মানুষ তাদের একটি পছন্দসই দলের #অভাব মর্মে মর্মে অনুভব করে আসছেন।”
------ আহমদ ছফা
“যারা মৌলবাদী তারা শতকরা একশো ভাগ মৌলবাদী।কিন্তু যারা #প্রগতিশীল বলে দাবী করে থাকেন তাদের কেউ কেউ দশ ভাগ প্রগতিশীল, পঞ্চাশ ভাগ #সুবিধাবাদী, পনেরো ভাগ #কাপুরুষ, পাঁচ ভাগ একেবারে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন।
#আওয়ামী #বিএনপি #এরশাদ #জামায়াত #মৌলবাদী
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
I have this habit of correlating different places/localities of different cities. Specially if I know the places or have stayed there.
So far, for example, this is what I feel about #bangalore and #kolkata :
Indiranagar : Salt Lake (not Sector 5, the older parts)
Bellandur: Howrah
Do you guys have this mental habit of doing similar things?
@vaniIlaessence How is the weather in #Kolkata?
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যে সকল বীর বাঙালি ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিয়েছেন।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ব্রিটিশ #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
Scenes from a catastrophe: this is a haunting piece on the #India #Heatwaves and the future of megacities like #Kolkata, perhaps because I have read #MinistryForTheFuture.
#TheEconomist
(Sorry I have no more gift links this month.. )
Can Kolkata’s street life survive India’s record-breaking heatwaves? from @TheEconomist https://www.economist.com/1843/2023/05/11/can-kolkatas-street-life-survive-indias-record-breaking-heatwaves
বেঁচে থাকাটাই #আশ্চর্য!
#সকালে ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলাম-তার মধ্যে #ক্যান্সারের #উপাদান!
তারপর #নাস্তায় #পরোটা খাইলাম- তার মধ্যে #অ্যামোনিয়ার তৈরি সল্টু মিশানো!
তারপর #কলা খাইলাম - কার্বাইড দিয়ে #পাকানো!
তারপর #কফি নিলাম - এতে #তেঁতুলের বিচির #গুড়া মিশানো!
তারপর বাজারে গেলাম টাটকা শাক সবজি কিনলাম-
#কপার #সালফেট ছিটায়ে সতেজ করা, হাইব্রিড #সার দিয়ে ফলানো!
#মসলা আর হলুদের #গুড়া নিলাম - লেড এবং ক্রোমাইট ক্যামিকেল মিশানো!
গরমের দিন বাসায় এসে #তরমুজ #খাইলাম - #পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট দিয়ে লাল করা!
আম এবং লিচু বাচ্চাকে দিলাম খেতে - কার্বাইড দিয়ে পাকানো এবং #ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত!
#দুপুরে ভাত খাবো - #ইউরিয়া দিয়ে সাদা করা!
মুরগী নিলাম প্লেটে- ক্রমাগত এন্টিবায়োটিক দিয়ে বড় করা!
#সয়াবিন তেলে #রান্না সব - ভিতরে অর্ধেক পাম অয়েল মেশানো!
খাওয়ার পর #মিষ্টি #জিলাপি নিলাম - #পোড়া #মবিল দিয়ে মচমচে করা!
#রোজা থাকলে সন্ধ্যায় #রুহ আফযা নিলাম - ক্যামিকেল আর রং ছাড়া কোন #পুষ্টি #উপাদান #পাওয়া যায়নি পরীক্ষায়!
#খেজুর খাইলাম - বছরের পর বছর স্টোরেজে ফরমালিন দিয়ে রেখেছিলো!
সরিষার #তেল দিয়ে মুড়ি মাখানো খাইলাম- মুড়ি ইউরিয়া দিয়ে ফুলানো আর #সাদা করা এবং #সরিষার তেলে ঝাঁঝালো ক্যামিকাল মিশানো!
#রাতে আবার একই #বিষ ডবল খাইলাম!
#ঘুমানোর আগেও বাদ যাবেনা। #গরম #দুধ আর হরলিক্স খাইলাম- গাভীর পিটুইটারি গ্রন্থিতে #ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অতিরিক্ত #দুধ দোওয়ানো হয়, এরপর ইউরিয়া মেরে সাদা করা হয়। আর হরলিক্সে #পরীক্ষা করে #ক্যামিকাল ছাড়া কোন পুষ্টি #উপাদান পাওয়া যায়নি!
এত ভেজাল খেয়ে দু একটা #ঔষধ না খেলে তো শরীর টিকবেনা। ৭০ ভাগ ঔষধ #কোম্পানি #দেশে মান সম্মত ঔষধ তৈরি করেনা।
এইসব খাওয়ার পর ভাবতেছি, কেমনে #বেঁচে আছি!..
মানুষের #ঈমান তো নাই নাই, দুর্নীতির ভিতরেও এরা দুর্নীতি করে। আসলে আমরা কেউই বেঁচে নাই।#আফসোস।
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
উন্নত বিশ্বের #বিচারব্যবস্থা কেমন? বাংলাদেশে কি রকম বিচারব্যবস্থা চালু হলে আইনের #সুশাসন #প্রতিষ্ঠা হবে?
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বিচারব্যবস্থার #তুলনা :
👉 ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর #বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসরঘর সাজিয়ে প্রতিরাতে একজন ছাত্রীকে ধর্ষন করা হতো, এভাবে একশত ধর্ষন করার পর #বিশ্ববিদ্যালয়ে #মিষ্টি বিতরণ করে #উল্লাস করেছিলো #ক্ষমতাসীন
দলের #সোনার ছেলে "#জসিমউদদীন মানিক" এরও একটা বিচার হয়েছিলো, তবে #ফাঁসি হয় নি।
.
👉 দিবালোকে রামদা দিয়ে #রাস্তায় প্রকাশ্যে খাদিজাকে কুপিয়ে তার মাথা কয়েকভাগ করে সিলেটের #বদরুল,
খাজিদার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে।
বদরুলেরও একটা #বিচার হয়েছে, তবে খুব বেশি হয় নি।
.
👉 ২০১৮ সালে #বগুড়ায় বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকে
একসাথে ধর্ষন করে মাথা #নেড়ি করে দেয় #প্রভাবশালী তুফান, তুফানেরও একটা #বিচার হয়েছে, তবে #ফাঁসি
হয় নি।
.
👉#সংরক্ষিত এলাকা #কুমিল্লা #ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে #তনুকে #ধর্ষন করার পর হত্যা করা হয়, কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু #গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করেই জানে, কিন্তু তনুর #ধর্ষনকারী কেউ #গ্রেফতার হয় নি।
.
👉 ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর #সুবর্ণচরে দিনের বেলা যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে #ধর্ষণ করার পর প্রহার করা হয়, ১৭ কোটি #মানুষ এর সাক্ষী,
#ধর্ষক রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও,
#ফাঁসি কিন্তু হয় নি।
.
👉 কিছুদিন আগে ঢাকার এক #আবাসিক এলাকায়
৭ বছরের #শিশুকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে
#হত্যা করা হয়, #ধর্ষক আটক, তবে তারও কিন্তু #ফাঁসি হবে না।
.
👉 গত কয়েকবছর আগে দেখলাম ৩ বছরের শিশুর
যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়,
সেই ধর্ষকও গ্রেফতার হয়েছে, তবে #ফাঁসি কিন্তু হয় নি।
.
👉 এভাবে আরো কতো #ধর্ষণ হচ্ছে মা বোনেরা তার হিসাব রাখে কে? ধর্ষকরা #জেলে যায় ঠিকই,
কিন্তু #ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আবার বেরিয়ে আসে।
.
👉 আমরা ধর্ষকের #ফাঁসি চাই সবাই, কিন্তু দেশে কি সেই আইন আছে?
ধর্ষকের #শাস্তি জনসম্মুখে #মৃত্যুদন্ড মাত্র তিন চারটা দিয়ে দেখুন, ধর্ষনতো দূরের কথা, কোনো মায়ের দিকে চোখ তোলে তাকানোর সাহস পাবে না কোন #কুলাঙ্গার।
{ধর্ষনের সাজা}
👉 #আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষনের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ।
👉 #রাশিয়া: ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড।
👉 #চীন: কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদন্ড ।
👉 #পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদন্ড ।
👉 #মধ্যপ্রাচ্য আরব দুনিয়া: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে মৃত্যু, ফাঁসি, হাত পা কাটা, যৌনাঙ্গ কেটে অতি দ্রুততার সাথে মৃত্যুদন্ড দেওয়া ।
👉 #সৌদি আরব: শুক্রবার জুম্মা শেষে জনসম্মক্ষে শিরচ্ছেদ!
👉 #দক্ষিন আফ্রিকা: ২০ বছরের কারাদন্ড।
👉 #মঙ্গোলিয়া: ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়ে প্রতিশোধ পুরণ ।
👉 #নেদারল্যান্ড: ভিন্ন ভিন্ন সাজা ।
👉 #আফগানিস্তান: ৪ দিনের ভিতর গুলি করে হত্যা ।
👉 #মালয়শিয়া: মৃত্যুদন্ড।
👉 #বাংলাদেশে:👇
-: প্রতিবাদ🙌
-: ধর্না😉
-: তদন্ত😉
-: কয়েকসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন
-: সমঝোতার চেষ্টা😉
-: #ঘুষ দেওয়া😛
-: প্রভাবশালীদের লোক 😉
-: ধমক-চমক 😛
-: মেয়েটির চরিত্র নিয়ে গবেষণা😰
-: #বোরকা পরে ছিলো কি না?😰
-: সংবাদমাধ্যমে আলোচনার আসর😒
-: রাজনীতি করন😡
-: জাতি নির্ধারণ😡
-: জামিন😡
-ফের ধর্ষন😯😱
-:মেয়েটির #আত্মহত্যা 😭
হুম এটাই আমাদের বাংলাদেশ বিচারব্যবস্থা 😪😪😪
নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা
৫০০ শত অক্ষরে সব কথা লেখা যায় না।
অক্ষর সংখ্যা কম হওয়ার mstdn.social থেকে infosec.exchange এ আসতে বাধ্য হয়েছি।
আসুন বাংলা দিয়ে ফেডিভার্সকে সাজায়।
#bangladesh #kolkata #bangla #migration #bengali #বাংলা #বাংলাদেশ #কলকাতা #বাঙালি
@bengali_convo
@Bangladesh@chirp.social
#ClimateDiary 17th April 2023. Record temperatures in #China; #Bengal’s Chief Minister Mamata Banerjee announcing all schools will be closed next week due to #Heatwave (and indeed #Kolkata forecast v hot); #MaunaLoa research station recording 425.8 ppm CO2 - the highest ever. Meanwhile more #FossilFuel projects given green light
#Kolkata #India #reddit #subreddit #mastindia
⚪ Mehr... Lieblingsfotos?
🟤 More... Favorite photos?
📷 by Artist: #KanikaGupta in Loc.: #Kolkata India 🇮🇳 2017 - Title: untitled - #Streetart #Art #Mastoart #Childhood #Children #ChalkDrawing #Fotografie #Photography ➡️ #APhotoLove
Town pump in Tollygunge, Kolkata. (Nikon F-601)
#FilmIsNotDead #BelieveInFilm #FilmPhotography #India #Kolkata #Calcutta #Bengal #WestBengal #35mm
Water pump, Kolkata, 2004 (Nikon F-601). One of the first film photos I ever took (at 19 years old)
#BelieveInFiIm #FilmIsNotDead #FilmPhotography #India #Kolkata #WestBengal
Guten Abend... Gute Nacht / #GoodEvening... #Goodnight 🌠
Artist: #AfzanPirzade
in - City: #Kolkata India 🇮🇳 - Title: "Healing the wounded spirit" - #Streetart #Mastoart #Art #Mural #GuteNacht #Traum #Dream 🌟
A note for roll buyers in Kolkata, India:
"We do not use tomato sauce to make rolls. Only chilly sauce is recommended. However customers are requested not to insist for chilly sauce while making our exclusive kati kabab rolls."
#Kolkata #Calcutta #India #MastIndia #StreetPhotography #Bengali #indianfood
“Downloading…also done here”
Hand-lettered signs in India (this one is from Kolkata) are lovely, and bring me joy even if they’re advertising the most mundane of goods and services.
#Kolkata #Calcutta #India #MastIndia #StreetPhotography #BeautifulDecay
Am I boasting 👆 - yes, for sure, am quite proud of myself. Couldn't but think of my partner and kids who weren't in #Kolkata and I had makha-sandesh there. Couldn't really get any (it doesn't travel and needs refrigeration) - I only got the drier harder Sandesh (which is great but not the same - like camembert vs parmesan).
Kid2 on tasting the makha-sandesh I made, pronounced with lit eyes and grin, "tastes just like makha sandesh from Kandhenu" (sweet store she remembers fondly from 2018)
Homemade Makha-Sandesh* with patali gur (date palm jaggery) with a generous drizzle and pool of #NolenGur
May your Sunday and week ahead be sweet and comforting.
----
Makha = mixed (usually by hand, here requires kneading)
#Sandesh = #Bengali sweet based on fresh chhenna (paneer; loose, not compressed - akin to fresh ricotta)
Nolen gur is date palm syrup or molasses - a winter delicacy (not unlike maple syrup) I picked up on my December trip to #Kolkata
The #Cat & Lobster Story Continues on a #Caturday
This c1930's #IndianMiniaturePainting #Painting is now at National Gallery of Modern #Art #NewDelhi #India (#NGMA)
Painted by artist Jamini Roy (1887-1972), the most famous proponent of #Kalighat #Bengal Style of #Paintings which became popular with #British #European visitors to #Calcutta #Kolkata in the 1880's.
#IndianHeritage #IndianMiniaturePaintings #IndianHistory #Art #Heritage #History #Cats #CatsOfMastodon #IndianCulture
The catacomb-like underground markets of Kolkata, India are trippy
#Kolkata #Calcutta #Gariahat #India #MastIndia #MastodonIndians
Late night paan on the streets of Kolkata, India
#photo: Streets of the City of Joy
.
#streetphotography #blackandwhite #bnwphotography #kolkata #india #travelphotography #moody
#photo: Twisted perspectives!
#photo: Lines, angles, colors, textures. Captured at Princep Ghat #kolkata
#architecture #travelphotography #travel #kolkataphotography #india #monument
#photo: An artist creates the straw structure which will become a clay statue at Kumartuli in #kolkata
#travelphotography #india #travel #artist #blackandwhite #bnwphotography
New Post on Instagram: Boats on the Hoogly river in #kolkata
#travelphotography #india #travel #boating https://instagr.am/p/CmrUDFOyaCm/
#photo: Capturing the sights during a walk around Rabindra Sarovar Lake #kolkata
#travelphotography #lakeview #twilight #reflections
New Post on Instagram: Capturing the sights during a walk around Rabindra Sarovar Lake #kolkata
#travelphotography #lakeview #twilight #reflections https://instagr.am/p/CmoXlDqLwLd/
New Post on Instagram: The iconic Howrah Bridge in #kolkata
#travelphotography #travel #bridge #fisheye https://instagr.am/p/CmnlW2Ir3VD/
New Post on Instagram: Princep Ghat train stop
#kolkata #travelphotography #vacation #travel https://instagr.am/p/Cml__CWMPyk/
#photo: Merry Christmas! Kolkata all light up for Christmas and the crowds.. unimaginable!
#christmas #kolkata #lights #christmaslights
3/n Here's another of the #KitchenTools from my Mom's #Kolkata kitchen - a coconut scraper. I think I have one in Pittsburgh (purchased in Chicago yrs ago when we used to live there). I don't think we've used it in years now - relying on frozen grated coconut.
#KitchenTools in my mom's #Kolkata #Kitchen - a thread 🧵
1/n
There are quite a few tools which I don't really use in my kitchen in Pittsburgh (though I have some).
I'll start with the seel or sil noda (flat grinding stone). Used for everything from grinding dry spices to wet cooked foods - such as these squash leaves (boiled with salt)
#Introduction I am a radiation oncologist working in #India at #TataMedicalCenter #Kolkata. Here to learn #rstats #ClinicalTrials and #HealthCareDisparities. Plan to use the platform to learn something new everyday.